জিতলেই সেমিফাইনাল। বাংলাদেশ-পাকিস্তান উভয় দলের সামনেই ছিল এমন সমীকরণ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করল বাবর আজমের দল। আর তিন পরাজয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করল বাংলাদেশ।
এতে করে নির্ধারণ হয়ে গেল বিশ্বকাপের চার সেমিফাইনালিস্ট। ‘গ্রুপ-১’ থেকে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড এবং ‘গ্রুপ-২’ থেকে ভারত ও পাকিস্তান নিশ্চিত করেছে শেষ চারের টিকিট। ‘গ্রুপ-১’ এর চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ নির্ধারণ হলেও ‘গ্রুপ-২’ এর এখনও তা নির্ধারিত হয়নি। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ভারত-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের ফলাফল পর্যন্ত।
বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ২৯তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-পাকিস্তান। টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে টাইগাররা। ১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট ও ১১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচে ৩ জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা।
আজ রোববার টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনার আভাস দেয় বাংলাদেশের ওপেনাররা। ভারতের বিপক্ষে তাণ্ডব চালানো লিটন এদিন ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদির বাউন্সারে ছক্কা মারেন। তবে সেই ওভারেই ফিরতে হয় বাঁহাতি এই ওপেনারকে। আফ্রিদির শর্ট ডেলিভারিতে সামনের পায়ে ভর করে কভার দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা শান মাসুদের হাতে ধরা পড়তে হয় ১০ রান করা লিটনকে।
লিটনের বিদায়ের এক বল পরই ফিরতে পারতেন শান্ত। মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে শাদাব খানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তবে ক্যাচটি নিতে পারেননি শাদাব। তাতে জীবন পান ১১ রানে থাকা শান্ত। এরপরই দারুণ জুটি গড়েন শান্ত ও সৌম্য সরকার। দেখেশুনে খেলে ৫২ রানের জুটি গড়ে তারা। এই দুজনের ব্যাটে দশ ওভারের মধ্যে ৭০ রান তোলে বাংলাদেশ।
১০ ওভার পর্যন্ত সবই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু ম্যাচের ১১তম ওভারে চিত্র বদলে যায়। শাদাব খানের করা সেই ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ফিরে যান সৌম্য ও সাকিব। ১৭ বলে ২০ রান করা সৌম্য পয়েন্টে ধরা পড়েন শান মাসুদের হাতে। অপরদিকে গোল্ডেন ডাকের শিকার হন সাকিব।
শাদাব খানের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন টাইগার কাপ্তান। যদিও বলটি সাকিবের ব্যাটে লেগে পায়ে লেগেছিল। আউট হওয়ার পর রিভিউ নেন সাকিব। শেষরক্ষা হয়নি। থার্ড আম্পায়ারও অন ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
সাকিবের বিদায়ের পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান নাজমুল হোসেন শান্ত। চলমান বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারেরও দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি এটি। মাইলফলক উদযাপনের পর একটি চার হাঁকিয়ে (৫৪) অবশ্য ইফতেখার আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন শান্ত। ৯১ রানে তখন চার উইকেট নেই বাংলাদেশের।
এই খাদের কিনারা থেকে আর উঠতেও পারেনি তারা। ১৭তম ওভারে আবারও জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন (৫) ও নুরুল হাসান সোহান (০)। শেষ পর্যন্ত ২০ বলে ২৪ রান তুলে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন।