সিরিজের তৃতীয় ও শেষ একদিনের ম্যাচ খেলতে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। আজ (শনিবার) চট্টগ্রাম পৌঁছায় দুই দলের খেলোয়াড়রা। আগামী সোমবার (৬ই মার্চ) চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে দু’দল।
সাত বছর আগে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ সবশেষ ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিলো ইংল্যান্ডের কাছে ২০১৬ সালে। এরপর নিজেদের আঙিনায় বাংলাদেশ সাতটি সিরিজে হারেনি কোন দলের কাছে। সাত বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ঘরের মাঠে বাংলাদেশ আবার সিরিজ হারলো। তবে ২০১৬ সালে ওই সিরিজে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়েছিলো তৃতীয় ম্যাচে। আর এবার প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের।
মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ দলের প্রতিটি বোলারই বেহিসেবি বোলিং করেছেন। তাইজুল ছাড়া বাকি বোলাররা প্রত্যেকে রান দিয়েছেন ৬০’র উপরে। পাহাড়সমান রানের নিচে চাপা পড়ে ব্যাটসম্যানরাও পারেননি দলকে ভালো কিছু উপহার দিতে। টপ অর্ডারের কেউই পারেননি ইনিংস বড় করতে। এসব কারণেই বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে হেরেছে বলে মনে করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
উপমহাদেশের কন্ডিশনে খেলতে এসে অন্য দলগুলোকে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়। তবে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবার রয়েছে দারুণ ছন্দে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ইংলিশ দলের দুই ক্রিকেটার সেঞ্চুরি পেয়েছেন। বিশেষ করে সিরিজের দ্বিতীয় খেলায় জেসন রয় যেভাবে ব্যাট করেছেন তা সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার কারণেই সাফল্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন জেসন রয়।
গত ৯ বছরে দেশের মাটিতে কোন ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়নি বাংলাদেশ দল, ইংলিশদের বিপক্ষে হোয়াইট ওয়াশ এড়ানোই বাংলাদেশ দলের আপাতত চাওয়া।