বাখমুতের পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন বলছে, রাশিয়ার তীব্র হামলা রুখে দিয়ে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে তারা। খবর রয়টার্সের।
রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বুধবার টেলিগ্রামে দাবি করে বলেন, বাখমুতের পশ্চিমাঞ্চল দখল করে নিয়েছে তার সেনারা।
বাখমুতকা নদীর পূর্বের সবকিছুই এখন ওয়াগনারের নিয়ন্ত্রণে। অন্যদিকে বুধবার ন্যাটো মহাসচিবও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, খুব শিগগিরই বাখুমুতের পতন হতে চলেছে। তার শঙ্কা, শুধু পূর্বাঞ্চলই নয়, পুরো বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে রুশ বাহিনী।
তবে ওয়াগনারের দাবি স্বাধীনভাবে সত্যতা যাচাই করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। এ ছাড়া এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়া বা ইউক্রেন কোনো পক্ষই কিছু জানায়নি। এদিকে, ইউক্রেন দাবি করছে, তারা বাখমুতে রুশ বাহিনীর ওপর পাল্টা হামলা চালাচ্ছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন, ইউক্রেনের বাখমুত দখল করা বৃহত্তর দনবাস অঞ্চলের ভেতরে সম্মুখ অভিযান শুরু করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাখমুতকে ইউক্রেন বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক কেন্দ্র বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
গত কয়েক মাস ধরে বাখমুত দখলের জন্য লড়াই চালিয়ে আসছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। বাখমুতে রাশিয়ার বাহিনীর আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছে ওয়াগনার। শহরটি দখল করতে পারলে গত গ্রীষ্মের পর এটিই হবে মস্কোর বড় সাফল্য।
বাখমুত অঞ্চলটি লবণ ও জিপসাম খনির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। ইউক্রেন বলছে, শহরটির কৌশলগত মূল্য খুব কম। শহরটি দখলের চেষ্টায় রাশিয়া যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি করছে, তা অকারণেই সংঘাত বাড়াচ্ছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার বাহিনী যদি বাখমুতের দখল নিতে পারে, তা হলে পূর্ব ইউক্রেনে ঢোকার জন্য তারা একটি ‘উন্মুক্ত পথ’ পেয়ে যাবে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার এমন কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে ইউক্রেনের বাখমুতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।