রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ জমির হোসেন ও কাপ্তাই উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ আকতার হোসেন মিলন নির্বাচিত হয়েছেন।
বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মোঃ জমির হোসেন পেয়েছেন ৬ হাজার ২৬০ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সমর্থনপুষ্ট স্বতন্ত্র প্রার্থী রহমত উল্ল্যাহ খাজা পেয়েছেন ২ হাজার ২৭৮ ভোট। আর কাপ্তাই উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ আকতার হোসেন মিলন পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৫ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে বিপ্লব মারমা পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬ ভোট।
বুধবার (১৫ জুন) রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা ও কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা ইউপির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখ পরিবেশে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ চলে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বাঘাইছড়ি পৌরসভা ও চন্দ্রঘোনা ইউপির নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এ ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সকাল থেকে নারী-পুরুষ উভয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান করতে দেখা গেছে। তবে প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এর পদ্ধতিতে হওয়ায় ভোটগ্রহন করার ধীর গীতিতে চলে।
এবার বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দুই তরুণ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ জমির হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রহমত উল্লাহ খাজা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে বাঘাইছড়ি পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে প্রথম দিকে এই পৌরসভায় নির্বাচন না দিয়ে পৌর প্রশাসক দিয়ে পৌরসভা পরিচালনা করা হয়। ২০১২ সালের দিকে এই পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবার এই পৌরসভার তৃতীয় পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিকে, শিল্পএলাকা হিসাবে পরিচিত রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাধীন ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২১ জন সাধারণ সদস্য এবং ১৩ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ১৬০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৪৮৮ জন এবং মহিলা ভোটার ৪ হাজার ৬৭২ জন।