মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বসুন্ধরার চেয়ারম্যান ও তাঁর পরিবারের বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দের আদেশ শেখ হাসিনা সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে : ড. ইউনূস বাংলাদেশের হাই কমিশনে হামলা: ত্রিপুরার ৩ পুলিশ বরখাস্ত সীমান্তে যেকোনো অপতৎপরতা রোধে প্রস্তুত বিজিবি সেনাসদস্যদের দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে বললেন সেনাপ্রধান ‘আগরতলার ঘটনা জেনেভা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ’ ‘পায়ে পড়ে ঝগড়া করলে বাংলাদেশের মানুষ ভারতমুখী হবে না’ দুর্নীতির শীর্ষে পাসপোর্ট-বিআরটিএ-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ‘বাংলাদেশে নয়, ভারতেই শান্তিরক্ষী বাহিনী দরকার’ চিন্ময়ের জামিন শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি দিন ধার্য ঘূর্ণিঝড় ফিনজালে ভারত-শ্রীলঙ্কায় নিহত ২০ সিরিয়ায় ঢুকেছে ইরান-সমর্থিত ইরাকি যোদ্ধারা গাজায় আরও ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত যুদ্ধবিরতির মধ্যেই লেবাননে হামলা চালাল ইসরায়েল, নিহত ১১ জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

বাজারে অধিকাংশ দামই অপরিবর্তিত

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : নভেম্বর ২৯, ২০২৪
ভারতে মধ্যবিত্তের রান্নাঘরে মুদ্রাস্ফীতির বোমা!

রাজধানীর কাঁচা বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের সবজি। গত সপ্তাহের তুলনায় দুএকটি সবজির দাম বাড়লেও অধিকাংশ দামই অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া বাজারে এসেছে নতুন আলু, বিক্রেতা দাম হাঁকাচ্ছেন প্রতি কেজি ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের ঝাল কিছুটা কম থাকলেও এখন তা আরও বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল, রায়ের বাজার, ধানমন্ডি স্টাফ কোয়ার্টারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে দামের এসব চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৯০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শালগম ১১০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। নতুন আলু ১০০ আর পুরান আলু ৭৫ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম ১৪০ টাকা হলেও প্রতি ২৫০ গ্রাম মরিচের জন্য ৪০ টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

এছাড়াও প্রতি কেজি ধনেপাতা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ৮০ টাকা। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। তবে ছোট বড় আকারের উপরে এই তিন সবজির দাম নির্ধারণ হয়।

বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০-১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০-৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০-১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় আজকে সবজির দাম তেমনটা বাড়েনি। কিছুটা কমেছে। কিন্তু শীতকালীন সব সবজি বাজারের এলেও সবজির দাম তুলনামূলক বেশি। মৌসুমে যদি এতো দামে আমাদের কিনতে হয় তাহলে অফ সিজনে তো আরো দাম বাড়বে।

সবজি ক্রেতা হেলাল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, সবজির দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখছি না। আগে শীতকালে মুলার হালি ১৫ থেকে ২০ টাকায় কিনতাম। এখন কেজি কিনতে হয় ৪০ টাকা। আর লাউ তো ৫০ টাকা নিচে পাওয়া যায় না। অথচ শীতকালে লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি দাম কম থাকার কথা ছিল।

সবজি বিক্রেতা সফিউল আলম বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজি আছে। শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরে গেছে। তবে শীতকালীন সবজি আসায় দাম কমার কথা। কিন্তু চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সবজি না আসায় দাম বাড়ছে।

রায়ের বাজারের সবজি বিক্রেতা রমিজ মিয়া বলেন, আজকে পুরান আলু আর নতুন আলুর দামে তেমন ফারাক নেই। নতুন আলু ১০০ টাকা। আর পুরান আলু ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। তবে সবজির দাম দিন দিন কমবে। বাজারে শীতকালীন সবজি আসা শুরু করেছে। আগামীতে দাম আরো কমবে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ