রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত, জানালেন অবসরপ্রাপ্ত সেনারা জাতীয় ঐক্যের ডাক দেশের রাজনীতিতে বড় উদাহরণ এক দল থেকে আরেক দলে ‘ডিগবাজি’ বন্ধে নীতিগত সিদ্ধান্ত সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা সিরিয়ায় আরও এক গুরুত্বপূর্ণ শহর বিদ্রোহীদের দখলে সামরিক আইনের জন্য ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বেলারুশে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা পুতিনের ইসরায়েলের হামলায় গাজায় আরও ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত গ্লোবাল সুপার লীগের শিরোপা জিতেছে রংপুর রাইডার্স ৮৬৬ ম্যাচ খেলে প্রথমবার ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা নয়ারের এমএলএস ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ মেসি সেভেন সিস্টার্স, হিন্দু ও পাকিস্তান নিয়ে চিন্তিত কেন ভারত? শীতের তাণ্ডব, তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১০ ডিগ্রিতে মুসলিম বলেই বসবাস করতে দেবেন না হিন্দুরা ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, শনাক্ত ১৮৬

বাজেট পোশাক শিল্পের জন্য হতাশাব্যঞ্জক

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : জুন ৮, ২০২৪
বাজেট পোশাক শিল্পের জন্য হতাশাব্যঞ্জক

পোশাক শিল্পের জন্য ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট হতাশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছে তৈরি পোশাক, নিট ও বস্ত্র মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ।

শনিবার (৮ জুন) ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করে বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমাদের প্রত্যাশা ছিল বাজেটে পোশাক শিল্পের জন্য সহায়ক কিছু নীতি সহায়তা থাকবে। বিশেষ করে উৎসে কর ০.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং এটিকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করার বিষয়ে আমাদের গভীর প্রত্যাশা ছিল। পাশাপাশি আরও প্রত্যাশা ছিল বাজেটে ইনসেনটিভের ওপর আয়কর অব্যাহতি, শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা, এইচএস কোড ও ওজন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা, ইআরকিউয়ের ওপর আয়কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে আমদানির ওপর কর রেয়াত, পোশাক শিল্পের ঝুটের ওপর ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট ও রিসাইকেল ফাইবার সরবরাহের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার ইত্যাদির ঘোষণা আসবে, যা বাজেটে আসেনি। এটা আমাদের জন্য হতাশাব্যাঞ্জক।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কঠিন বাস্তবতায় নানামুখী চ্যালেঞ্জ নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সংকোচনমূলক বাজেট প্রস্তাবনা করা হয়েছে। উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৭৫ শতাংশ ধরা হয়েছে এবং মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে ধরে রাখার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। বাজেটে শিক্ষা ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাজেটের ইতিবাচক দিক।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতারা জানান, একাধিকবার মূল্যস্ফীতিকে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসায় আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের এই প্রধান খাতটির জন্য কিছু নীতি সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের মূল প্রস্তাবগুলো প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি। তবে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের জন্য সহায়ক প্রস্তাবনাগুলোকে আমরা সাধুবাদ জানাই, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে– ভ্যাট আপিলের ক্ষেত্রে দাবিকৃত অর্থের ২০ শতাংশ জমা দিতে হতো। সেটা কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ১৭টি বিভিন্ন টেক্সটাইল পণ্য রেয়াতি হারে আমদানির সুবিধা দেওয়া হয়েছে। শিল্প কারখানায় ৫০ টন বা অধিক ক্ষমতার চিলার আমদানির ক্ষেত্রে সর্বমোট কর ১০৪.৬৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। পূর্বে এটি এক শতাংশ রেয়াতি হারে আমদানির বিধান ছিল। আমরা পুনরায় এটি এক শতাংশ রেয়াতি হারে আমদানির অনুমোদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ