অস্বাস্থ্যকর বায়ুর শহরের তালিকার উপরের দিকেই থাকছে ঢাকা। আজ বুধবারও (১ মার্চ) বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় রাজধানী ঢাকা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯৫ রেকর্ড করা হয়েছে। যার অর্থ হলো জনবহুল এ শহরের বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষক সংস্থা একিউএয়ারের তথ্য বলছে, জানুয়ারি মাসে একদিনের জন্যও অস্বাস্থ্যকর অবস্থা থেকে নামেনি ঢাকার বায়ু। বরং বেশ কয়েকদিনই ঢাকার বায়ুমান ছিল চরম অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে। এর ধারাবাহিকতা চলছে ফেব্রুয়ারিতেও।
১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
একিউএয়ারের তথ্য বলছে, ১৯৭ একিউআই স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে চীনের উহান, ১৮৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই। ১৮৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ পাকিস্তানের রাজধানী করাচি এবং পঞ্চম স্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের স্কোর ১৮৩।
মেগাসিটি ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে বায়ুদূষণে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
বর্তমানে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণকাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে ঢাকা শহরের বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।