বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: বায়োপসির জন্য সোমবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শরীর থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে আসলে তাঁর কী হয়েছে।
বিকেলে গুলশানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
বায়োপসির জন্য সোমবার সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ছোট অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। সেখানেই তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখলেন ওনার একটি ছোট বায়োপসি করা প্রয়োজন। কারণ, ছোট একটা লাম্প আছে এক জায়গায়। সে জন্য আজকে ছোট অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে বায়োপসি করা হয়েছে।’
জাহিদ হোসেন জানান, বায়োপসির প্রতিবেদন পেতে সময় লাগবে। কারণ, এর জেনেটিক স্টাডি করার প্রয়োজন। এ জন্য ১৫ থেকে ২১ দিন সময় লাগতে পারে। খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা কী হবে, বায়োপসি প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছে।
এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শুধু এটুকু বলতে চাই যে আপনারা নিশ্চিত থাকুন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এখন একদম সুস্থ আছেন। কিছুক্ষণ আগে তাঁর সঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তারেক রহমান) কথা বলেছেন। তাঁর ভাই (শামীম এস্কান্দার) কথা বলেছেন। আমাদের ডাক্তাররা নিশ্চিত করেছেন যে তিনি সুস্থ আছেন এবং ভালো আছেন। কোনো রকম বিপদের আশঙ্কা নেই বলেই তাঁরা মনে করেন।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির মহাসচিব আবারও উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বহুবার বলেছি, ওনার পরিপূর্ণ চিকিৎসার অ্যাডভান্স সেন্টার এখানে নেই। এ জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বাইরে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। এর জন্য কোনো আইনগত বাধা আছে বলে মনে করি না। কারণ, এই মামলায় জামিন তাঁর প্রাপ্য, এটা তাঁর প্রতি দয়া নয়। সরকারের উচিত অবিলম্বে তাঁকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।’