মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে ২ মে জনগণের পকেট কাটার কারণে দেশে হাহাকার পড়েছ: রিজভী ১৫০ উপজেলায় ১৮৯১ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল ঈদের সময় এলো সাড়ে ৯ হাজার কো‌টি টাকার প্রবাসী আয় ৫৫ হাজার টাকা ঋণে শোধ করতে হয় ৫ লাখ টাকা ক্যাচ ধরে লাখ টাকা আয় মুস্তাফিজের বাঙালি সংস্কৃতিকে অস্বীকারকারী মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী: কাদের ‘বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মাজা ভেঙে গেছে’ নিরাপত্তা পরিষদে ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ ক্রমাগত কমছে রোহিঙ্গা সহায়তার তহবিল মধপ্রাচ্যের দেশগুলো যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে- জাতিসংঘ মহাসচিব ইরানি হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় ১.৩৫ বিলিয়ন ডলার ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চান না ইসরাইলি নাগরিকরা ইরান নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ইসরাইলের মন্ত্রিসভা হামলার আগে সতর্ক করেছিলো ইরান, অস্বীকার আমেরিকার

বিতর্কিত ইভ্যালি সংক্রান্ত নথি চেয়ে বিভিন্ন সংস্থার কাছে দুদকের চিঠি

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : সেপ্টেম্বর ২, ২০২১

বৃত্তান্ত প্রতিবেদন: গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের প্রায় ৪০৪ কোটি আত্মসাতের দায়ে অভিযুক্ত দেশের বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালি সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়ে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কাছে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, “আমরা বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ইভ্যালির নথিপত্র চেয়েছি”।

“এ বিষয়ে অন্যান্য সংস্থা যারা তদন্ত করছে আমরা তাদের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করব,” বলেন তিনি।

ইতোমধ্যে দুদকের অনুসন্ধান টিম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, সিটি করপোরেশন, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) বেশ কয়েকটি সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে গত ৮ জুলাই ইভ্যালির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম আদায় করা প্রায় ৩৩৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক।

এর আগে, গত ৪ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুদক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কাছে পৃথক চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।  চিঠিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম ২১৪ কোটি টাকা আদায়ের পর ডেলিভারি না দেওয়া ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ১৯০ কোটি টাকার রিফান্ড না দেওয়ার অভিযোগে ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্তের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত মাসে ইভ্যালির বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিবেদনে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়।

গ্রাহকদের কাছে অগ্রিম ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা নেওয়ার পর ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ রয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছে নেওয়া অগ্রিম, সরবরাহকারীদের দেনা ও ব্যবসায়িক দেনাসহ ইভ্যালির মোট দায়ের পরিমাণ ৫৪৩ কোটি টাকা। এছাড়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দেওয়া বিবৃতিতে শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি বাবদ আরও এক কোটি টাকা দায়ের কথা জানায় ইভ্যালি।

তবে, বিবৃতিতে গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের কাছে দেনার পরিমাণ আলাদা ভাবে দেখায়নি তারা।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদের পরিমাণ ১২১ কোটি টাকা। সব সম্পদ বিক্রি করলেও তারা গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের মোট দেনার মাত্র ২২ শতাংশ পরিশোধ করতে পারবে। বাকি ৪২২ কোটি টাকা ঘাটতি রয়ে যাবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া ব্যালেন্স শিটে ঘাটতির প্রায় সমান বা ৪২২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্র্যান্ড ভ্যালু হিসেবে উল্লেখ করে ইভ্যালি।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ