শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নামল ১৯ বিলিয়ন ডলারে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২,৫০০ টাকা নির্ধারণ জাতীয় সংসদকে হাইকোর্টের ১৬ পরামর্শ পাকিস্তান নারী দলকে হারিয়ে দিলো বাংলাদেশ কাপুরুষের কাছে রাজনীতি শোভা পায় না: কাদের সিইসির সঙ্গে তিন গোয়েন্দা প্রধানের সাক্ষাৎ ‌‌বিএনপি দেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে- তথ্যমন্ত্রী ক্ষমতাসীনরা নাশকতা করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে : রিজভী ইসরায়েলবকে হিজবুল্লাহর হুঁশিয়ারি ইসরায়েল থেকে আরও ২ দেশের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত পেনশন স্কীমে ব্যাপক সাড়া, ৩দিনে ৪০ হাজার আবেদন, ২ কোটি টাকা জমা ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে ৫২ আবেদন, উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন প্রধান তিন দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক, চীনের খপ্পড়ে বাংলাদেশ পড়েছে কি না প্রশ্ন দুই কংগ্রেস সদস্যের বাড়তি দর নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচের পর এবার ডিম আমদানির পরিকল্পনা

বিতর্কিত ইভ্যালি সংক্রান্ত নথি চেয়ে বিভিন্ন সংস্থার কাছে দুদকের চিঠি

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : সেপ্টেম্বর ২, ২০২১

বৃত্তান্ত প্রতিবেদন: গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের প্রায় ৪০৪ কোটি আত্মসাতের দায়ে অভিযুক্ত দেশের বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালি সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়ে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কাছে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, “আমরা বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ইভ্যালির নথিপত্র চেয়েছি”।

“এ বিষয়ে অন্যান্য সংস্থা যারা তদন্ত করছে আমরা তাদের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করব,” বলেন তিনি।

ইতোমধ্যে দুদকের অনুসন্ধান টিম বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, সিটি করপোরেশন, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) বেশ কয়েকটি সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে গত ৮ জুলাই ইভ্যালির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম আদায় করা প্রায় ৩৩৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক।

এর আগে, গত ৪ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুদক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কাছে পৃথক চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।  চিঠিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম ২১৪ কোটি টাকা আদায়ের পর ডেলিভারি না দেওয়া ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ১৯০ কোটি টাকার রিফান্ড না দেওয়ার অভিযোগে ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্তের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত মাসে ইভ্যালির বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিবেদনে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়।

গ্রাহকদের কাছে অগ্রিম ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা নেওয়ার পর ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ রয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছে নেওয়া অগ্রিম, সরবরাহকারীদের দেনা ও ব্যবসায়িক দেনাসহ ইভ্যালির মোট দায়ের পরিমাণ ৫৪৩ কোটি টাকা। এছাড়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দেওয়া বিবৃতিতে শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি বাবদ আরও এক কোটি টাকা দায়ের কথা জানায় ইভ্যালি।

তবে, বিবৃতিতে গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের কাছে দেনার পরিমাণ আলাদা ভাবে দেখায়নি তারা।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদের পরিমাণ ১২১ কোটি টাকা। সব সম্পদ বিক্রি করলেও তারা গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের মোট দেনার মাত্র ২২ শতাংশ পরিশোধ করতে পারবে। বাকি ৪২২ কোটি টাকা ঘাটতি রয়ে যাবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া ব্যালেন্স শিটে ঘাটতির প্রায় সমান বা ৪২২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্র্যান্ড ভ্যালু হিসেবে উল্লেখ করে ইভ্যালি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ