বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চায়: প্রেস সচিব মানি লন্ডারিংয়ের মামলা থেকে খালাস পেলেন মামুন হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা সৃষ্টিতে উসকানিদাতার পক্ষে ভারত: ফারুক সংস্কার লাগবে, তবে বাকশালের মতো কিছু যেন না হয়: মঈন খান শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা পার্শ্ববর্তী দেশের উসকানি গোটা জাতি ধরে ফেলেছে’ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কোনো ছাড় নয়: আইজিপি ভারতেই শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৭ ম্যাচ পর জিতল ম্যানসিটি সালাহ শো শেষেও পয়েন্ট খোয়াল লিভারপুল ফরাসি পার্লামেন্টে আস্থাভোটে মাক্রোঁপন্থি সরকারের পতন ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকহারে নিম্নমুখী আসাদ বিরোধীদের হঠাৎ উত্থানে সংকটে সিরিয়া ইউক্রেনকে আরো শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ভারতকে এড়িয়ে চীনের সাথে নেপালের চুক্তি

বিদেশি সমর্থন হারাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪
বিদেশি সমর্থনও হারাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার

যুদ্ধক্ষেত্রে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের শক্ত অবস্থান আর অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বিদেশি সমর্থন হারাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। আন্তর্জাতিক সংবাদভিত্তিক ম্যাগাজিন দ্য ডিপ্লোম্যাট বলছে, রাশিয়ার সমর্থন থাকলেও, চীনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তিক্ততা বেড়েছে। এমনকি বেইজিং মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে বলেও দাবি করেছে দ্য ডিপ্লোম্যাট।

তিন বছর আগে, গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জান্তা সরকারকে সমর্থন দেয় রাশিয়া, চীনসহ কয়েকটি দেশ। তবে গত অক্টোবর থেকে উত্তর-পূর্বে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। এরই মধ্যে চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড সীমান্তের চার শতাধিক সেনাঘাঁটি ও ১২ শহরের দখল হারিয়েছে জান্তা বাহিনী।

মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সীমান্ত ২ হাজার ১২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে অক্ষম জান্তা সরকারের প্রতি হতাশ চীন। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে অস্ত্র সরররাহ করছে বেইজিং।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বেইজিং-নেপিদো উত্তেজনা নিরসনে ব্যর্থ রাশিয়া। চীনের অস্বস্তিতে ঝুঁকিতে পড়বে মিয়ানমারে রাশিয়ার বিনিয়োগ। তবে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াতে রাশিয়া জান্তা বাহিনীকে সমর্থন দেবে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।

রোহিঙ্গা গণহত্যা ইস্যুতে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে সমর্থন হারিয়েছে জান্তা সরকার। এ ছাড়া অভ্যুত্থানের পর কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞায় তাদেরকে বেকায়দায় ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ভারত ও থাইল্যান্ড বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে, এমন কোনো প্রমাণ না মিললেও, দেশ দুটিকে বিদ্রোহীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ