শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
‘যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তে সাথে বেইমানি করা যাবে না’ নরেন্দ্র মোদী পুণ্যস্নান করলেন ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে’ চার প্রদেশ ও নতুন দুই বিভাগের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের অনির্বাচিত সরকার কখনো নিরাপদ না: জামায়াতের নায়েবে আমির আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল সরে দাঁড়িয়েছেন মেয়েদের জাতীয় দলের প্রধান কোচ থানায় হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হত্যা মামলায় শাহজাহান ওমরসহ তিনজন গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে গাজা উপত্যকা: ট্রাম্প সুইডেনে স্কুলে গুলি, নিহত ১০ তাপমাত্রার সাথে বাড়বে কুয়াশার দাপট উত্তরবঙ্গের সব পেট্রল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই খালাস

বিধিনিষেধ না মানলে লকডাউন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জানুয়ারি ১৫, ২০২২

বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলছে। সরকারের ১১ বিধিনিষেধ না মানলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। লকডাউন দিলে দেশের ক্ষতি। সরকার সেদিকে যেতে চায় না। তাই সবাইকে তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।

শনিবার মানিকগঞ্জ সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ইউনিট ও সিটি স্ক্যান ইউনিট উদ্বোধন  শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, শুক্রবার ৪,৪০০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং সংক্রমণের হার ১৩ শতাংশের বেশি। প্রতিদিন সংক্রমণের হার ২ থেকে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সবাইকে টিকা নিতে হবে। দেশে টিকার কোনো ঘাটতি নেই। ইতিমধ্যে সোয়া ১৪ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৭০ লাখ শিক্ষার্থী টিকা পেয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাণিজ্য মেলাসহ অনেক স্থানে সামাজিক অনুষ্ঠানে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এটা খুবই উদ্বেগজনক। নিজের জন্য, দেশের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই। মাস্ক পরতে হবে যাতে আমরা সংক্রমিত না হই।’

একটি সমীক্ষার উদাহরণ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন আড়াই হাজার করোনা আক্রান্ত রোগী হয়। সেখানে ৩০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এর মধ্যে শতকরা ১ ভাগ রোগীর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) প্রয়োজন হচ্ছে। এই মুহূর্তে এটিও আশঙ্কাজনক। এভাবে সংক্রমণ ও রোগী বাড়তে থাকলে হাসপাতালগুলোতে জায়গা থাকবে না। কাজেই সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বাদ উল্লাহ, মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ