মানবিক বিভাগে পড়েও বিজ্ঞানের ছাত্রী হিসেবে জাল সনদ জমা দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার হয়েছেন একজন। আবার পাইলট ইন কমান্ড হওয়ার জন্য একজন ফার্স্ট অফিসার ব্যবহার করেছেন জাল লাইসেন্স। গতবছর নিয়োগ পাওয়া ১৪ পাইলটের মাত্র ৫ জন সব পরীক্ষায় সঠিকভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন ও উড্ডয়ন করেছেন। বাকি ৯ জনেরই রয়েছে এমন জাল সনদ, অযোগ্যতা ও লাইসেন্সিং পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা। অথচ বেতন গুনছেন পূর্ণাঙ্গ পাইলটের।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজের জন্য ৮ জন ক্যাপ্টেন ও ৬ জন ফার্স্ট অফিসার নিয়োগ দেয়। এরমধ্যে মাত্র ৪ জন ক্যাপ্টেন ও ১ জন ফার্স্ট অফিসার উড়োজাহাজটি ওড়ানোর সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অযোগ্য পাইলটদের নিয়োগ দিয়ে বিপাকে পড়েছে বিমান। এদের কারোরই নিয়ম অনুযায়ী ৩০০ ঘন্টা উড্ডয়ন অভিজ্ঞতাও নেই।
বিমানের নথি থেকে জানা গেছে, এইচএসসিতে মানবিক বিভাগে পড়লেও সাদিয়া আহমেদ জাল শিক্ষাগত সনদ জমা দেন। সনদ অনুযায়ী তিনি বিজ্ঞানের ছাত্রী। এয়ারলাইন ট্রান্সপোর্ট পাইলট লাইসেন্স পরীক্ষার ১৪টির ১১টিতেই অনুপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট অফিসার আল মেহেদী। সিভিল এভিয়েশনের ফ্লাইট সেফটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সই জাল করে জমা দেন ভুয়া সনদ। পাইলট ইন কমান্ড হওয়ার জন্য এই সনদ প্রয়োজন।
এখানেই শেষ নয় প্রশিক্ষণরত এই পাইলটরা প্রথম ফ্লাইট থেকেই নিয়মবহির্ভুতভাবে পূর্ণাঙ্গ পাইলটের বেতন পাচ্ছেন বলেও রয়েছে অভিযোগ। যদিও বিমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে এসব তথ্য অসত্য। তবে পাইলট অ্যাসোসিয়েশন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রতিকার চেয়েছে বিমানের প্রধান নির্বাহীর কাছে।
এ বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান জানান, পাইলটদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি দেখছে সিভিল এভিয়েশন। সনদের বিষয়ে তাদের জানা নেই। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানান তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।