শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭০ ‘দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকুন’ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নবনিযুক্ত ২২ বিচারপতির সাক্ষাৎ কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ ভূষিত করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চায়: প্রেস সচিব মানি লন্ডারিংয়ের মামলা থেকে খালাস পেলেন মামুন হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা সৃষ্টিতে উসকানিদাতার পক্ষে ভারত: ফারুক সংস্কার লাগবে, তবে বাকশালের মতো কিছু যেন না হয়: মঈন খান শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা পার্শ্ববর্তী দেশের উসকানি গোটা জাতি ধরে ফেলেছে’ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কোনো ছাড় নয়: আইজিপি ভারতেই শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৭ ম্যাচ পর জিতল ম্যানসিটি সালাহ শো শেষেও পয়েন্ট খোয়াল লিভারপুল ফরাসি পার্লামেন্টে আস্থাভোটে মাক্রোঁপন্থি সরকারের পতন

বিরোধী দলের ওপর বল প্রয়োগের বিষয়টি তদন্ত করতে হবে : জাতিসংঘ

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ৪, ২০২৩
বিরোধী দলের ওপর বল প্রয়োগের বিষয়টি তদন্ত করতে হবে : জাতিসংঘ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগের বিষয়টির অবশ্যই দ্রুত তদন্ত করতে হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিএইচআর)। একই সঙ্গে অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে সব রাজনৈতিক দল, তাদের সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন দপ্তরের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই আহ্বান জানানো হয়। আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত প্রেস নোট প্রকাশ করে।

ব্রিফিংয়ে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, ‘গত কয়েক মাসে বিরোধীদের বেশ কয়েকটি সমাবেশে সহিংসতা ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। পুলিশ সেখানে রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও জলকামান ব্যবহার করেছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকের ব্যক্তিদের প্রতিবাদকারীদের দমনে হাতুড়ি, লাঠি, ব্যাট ও লোহার রডসহ নানা ধরনের বস্তু ব্যবহার করতে দেখা যায়।’

ব্রিফিংয়ের প্রেস নোটে বলা হয়, ‘এসব ঘটনায় বিরোধী দলের সমর্থকদের পাশাপাশি কিছু পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। জ্যেষ্ঠ বিরোধী নেতাদেরও প্রকাশ্যে মারধর করা হয়। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তাঁদের বাড়িতে অভিযানও চালানো হয়। সমাবেশের আগে ও সমাবেশকালে বিরোধী দলের শত শত নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে এবং জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার চর্চার সুযোগ দিতে হবে। এ ছাড়া তৃতীয় কোনো পক্ষ জনগণের সেই অধিকারকে দমন করতে চাইলে, তাদের অধিকার রক্ষায় নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ‘আমরা পুলিশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, কেবল জরুরি প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রিতভাবে বল প্রয়োগ করা যেতে পারে। যদি করতেই হয়, বৈধতা, সংযমের ভিত্তিতে এবং যৌক্তিক কারণ সাপেক্ষে তা করতে হবে। অতিরিক্ত বল প্রয়োগের বিষয়টি অবশ্যই দ্রুত তদন্ত করতে হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।’

মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। যা রাজনৈতিক বহুত্ববাদ এবং ভিন্নমত প্রকাশের প্রতি শ্রদ্ধা তৈরি করে এবং সেটিকে উৎসাহিত করে।’


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ