বিশ্বকাপে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে যে রেকর্ডের সামনে রোনালদো

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৩:০৪ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২ ১ বার পড়া হয়েছে
বৃত্তান্ত২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আর মাত্র আট দিন পর পর্দা উঠবে ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরের। কাতারে অনুষ্ঠিতব্য দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের অপেক্ষায় পুরো বিশ্ব। চলতি বছরের ২০ নভেম্বর মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টটি।

একাধিক কারণে কাতার বিশ্বকাপ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। কেননা, এই বিশ্বকাপের পরেই অনেকের প্রিয় দলের জার্সিতে প্রিয় খেলোয়াড়কে হয়তো আর দেখা যাবে না। বয়সের কারণে বিশ্বকাপের পরপরই অবসরের ঘোষণা আসতে পারে কয়েকজন ফুটবলারের। যাদের মধ্যে অন্যতম পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

সর্বকালের অন্যতম এই সেরা ফুটবলার ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসে ইতোমধ্যে সর্বাধিক গোলদাতার রেকর্ড অর্জন করেছেন। দেশের হয়ে জিতেছেন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ।

পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই জনপ্রিয় ফুটবলারের বর্তমান বয়স ৩৭। কাতার বিশ্বকাপে তাকে মাঠে দেখা গেলেও পরবর্তী বিশ্বকাপে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কেননা তখন বয়স হবে ৪১। এই বয়সে ফিটনেস ধরে রেখে ফুটবল মাঠে দৌড়ানো প্রায় দুরূহ।

কাতার বিশ্বকাপ হবে রোনালদোর পঞ্চম বিশ্বকাপ। ২০০৬ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ১৮তম আসরে প্রথমবার খেলেন রোনালদো। এরপর ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ, ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ ও ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি।

নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপে ফুটবল ইতিহাসের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে রোনালদোর সামনে। কাতার বিশ্বকাপে যদি একটি গোল করতে পারেন তবে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে টানা পাঁচ আসরে গোল করার রেকর্ড গড়বেন রোনালদো।

এই দৌড়ে অবশ্য পিছিয়ে রোনালদোর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। রোনালদোর মতো ২০০৬ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আসর খেলা মেসিরও কাতার বিশ্বকাপ হবে পঞ্চম আসর। গেল চার আসরে ৬ গোল করা মেসি ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা আসরে কোনো গোল করতে না পারায় রোনালদোর রেকর্ডে ভাগ বসানোর সুযোগ পাচ্ছেন না।

রোনালদো বিশ্বকাপে তার প্রথম গোল করেন ইরানরে বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইরানকে ২-০ গোলে হারায় পর্তুগাল। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জয় এনে দেন রোনালদো। সেবার সর্বকনিষ্ঠ পর্তুগিজ হিসেবে বিশ্বকাপে গোলের রেকর্ড গড়েছিলেন রোনালদো।

২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান এই সুপারস্টার। সেবার সাত নম্বর জার্সি পরে পর্তুগাল অধিনায়ক হয়ে মাঠে নামেন রোনালদো। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে উত্তর কোরিয়াকে ৭-০ গোলে হারায় পর্তুগাল। ম্যাচটিতে ষষ্ঠ গোলটি করেন রোনালদো। এছাড়া একটি অ্যাসিস্টও ছিল তার।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তার তৃতীয় গোল করেন নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপ আসরে। ২০১৪ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ঘানাকে ২-১ গোলে হারায় পর্তুগাল। ম্যাচের ৮০ মিনিটে গোল করে দলকে জেতান রোনালদো।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে রোনালদোর চমক দেখা যায় ২০১৮ সালে রাশিয়ায়। বিশ্বকাপের ২১তম আসরে হ্যাটট্রিকসহ চারটি গোল করেন রোনালদো। বি গ্রুপের ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে
সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়ে হিসেবে হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড।

ম্যাচটির চতুর্থ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। ৪৪ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। আর ৮৮ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয় রোনালদোর। যদিও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলে ড্র হয়। স্পেনের পক্ষে দিয়েগো কস্তা দুইটি গোল করেন।

পরের ম্যাচেও মরক্কোর বিপক্ষে আসরের চতুর্থ গোলটি করেন রোনালদো। ওই গোলটিও ম্যাচ শুরুর চতুর্থ মিনিটেই করেন তিনি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ আসরে মোট সাতটি গোল ও দুইটি অ্যাসিস্ট করেছেন রোনালদো। অবশ্য সবগুলো গোলই ছিল গ্রুপ পর্বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বকাপে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে যে রেকর্ডের সামনে রোনালদো

আপডেট সময় : ১১:১৩:০৪ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

আর মাত্র আট দিন পর পর্দা উঠবে ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরের। কাতারে অনুষ্ঠিতব্য দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের অপেক্ষায় পুরো বিশ্ব। চলতি বছরের ২০ নভেম্বর মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টটি।

একাধিক কারণে কাতার বিশ্বকাপ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। কেননা, এই বিশ্বকাপের পরেই অনেকের প্রিয় দলের জার্সিতে প্রিয় খেলোয়াড়কে হয়তো আর দেখা যাবে না। বয়সের কারণে বিশ্বকাপের পরপরই অবসরের ঘোষণা আসতে পারে কয়েকজন ফুটবলারের। যাদের মধ্যে অন্যতম পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।

সর্বকালের অন্যতম এই সেরা ফুটবলার ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসে ইতোমধ্যে সর্বাধিক গোলদাতার রেকর্ড অর্জন করেছেন। দেশের হয়ে জিতেছেন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ।

পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই জনপ্রিয় ফুটবলারের বর্তমান বয়স ৩৭। কাতার বিশ্বকাপে তাকে মাঠে দেখা গেলেও পরবর্তী বিশ্বকাপে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কেননা তখন বয়স হবে ৪১। এই বয়সে ফিটনেস ধরে রেখে ফুটবল মাঠে দৌড়ানো প্রায় দুরূহ।

কাতার বিশ্বকাপ হবে রোনালদোর পঞ্চম বিশ্বকাপ। ২০০৬ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ১৮তম আসরে প্রথমবার খেলেন রোনালদো। এরপর ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ, ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ ও ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি।

নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপে ফুটবল ইতিহাসের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে রোনালদোর সামনে। কাতার বিশ্বকাপে যদি একটি গোল করতে পারেন তবে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে টানা পাঁচ আসরে গোল করার রেকর্ড গড়বেন রোনালদো।

এই দৌড়ে অবশ্য পিছিয়ে রোনালদোর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি। রোনালদোর মতো ২০০৬ সালে প্রথম বিশ্বকাপ আসর খেলা মেসিরও কাতার বিশ্বকাপ হবে পঞ্চম আসর। গেল চার আসরে ৬ গোল করা মেসি ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা আসরে কোনো গোল করতে না পারায় রোনালদোর রেকর্ডে ভাগ বসানোর সুযোগ পাচ্ছেন না।

রোনালদো বিশ্বকাপে তার প্রথম গোল করেন ইরানরে বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইরানকে ২-০ গোলে হারায় পর্তুগাল। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জয় এনে দেন রোনালদো। সেবার সর্বকনিষ্ঠ পর্তুগিজ হিসেবে বিশ্বকাপে গোলের রেকর্ড গড়েছিলেন রোনালদো।

২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান এই সুপারস্টার। সেবার সাত নম্বর জার্সি পরে পর্তুগাল অধিনায়ক হয়ে মাঠে নামেন রোনালদো। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে উত্তর কোরিয়াকে ৭-০ গোলে হারায় পর্তুগাল। ম্যাচটিতে ষষ্ঠ গোলটি করেন রোনালদো। এছাড়া একটি অ্যাসিস্টও ছিল তার।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তার তৃতীয় গোল করেন নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপ আসরে। ২০১৪ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ঘানাকে ২-১ গোলে হারায় পর্তুগাল। ম্যাচের ৮০ মিনিটে গোল করে দলকে জেতান রোনালদো।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে রোনালদোর চমক দেখা যায় ২০১৮ সালে রাশিয়ায়। বিশ্বকাপের ২১তম আসরে হ্যাটট্রিকসহ চারটি গোল করেন রোনালদো। বি গ্রুপের ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে
সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়ে হিসেবে হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড।

ম্যাচটির চতুর্থ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন রোনালদো। ৪৪ মিনিটে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। আর ৮৮ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয় রোনালদোর। যদিও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলে ড্র হয়। স্পেনের পক্ষে দিয়েগো কস্তা দুইটি গোল করেন।

পরের ম্যাচেও মরক্কোর বিপক্ষে আসরের চতুর্থ গোলটি করেন রোনালদো। ওই গোলটিও ম্যাচ শুরুর চতুর্থ মিনিটেই করেন তিনি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ আসরে মোট সাতটি গোল ও দুইটি অ্যাসিস্ট করেছেন রোনালদো। অবশ্য সবগুলো গোলই ছিল গ্রুপ পর্বে।