চলতি বছরের ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপ। ম্যাচ শেষে জয়ের উদ্দাম আনন্দে ভেসে যাবেন ভক্তরা। রাতভর করবেন পার্টি। উল্লাসে মেতে সঙ্গীকে নিয়ে যাবেন নিজের রুমে। এমনটাই হয়ে এসেছে আগের সবগুলো বিশ্বকাপে। তবে কাতার বিশ্বকাপে এই দৃশ্য দেখা যাবে না।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি স্টারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক ব্যতীত কেউ যৌন মিলন করতে পারবেন না। আর করলেও কাতারের আইন অনুযায়ী পড়বেন শাস্তির মুখে। হতে পারে সাত বছরের জেলও।
দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, ‘স্বামী-স্ত্রী জুটি না হলে বিশ্বকাপ দেখতে এসে যৌনমিলন করা যাবে না। এই প্রতিযোগিতায় ‘এক রাতের যৌনমিলন’ থাকবে না। কোনও পার্টি করা যাবে না। নিয়ম না মানলে জেল হতে পারে।
ফুটবল বিশ্বকাপে প্রথমবার এমনভাবে যৌনমিলন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্রিটিশ সমর্থকদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন।
কাতারের আইন অনুযায়ী, দেশটিতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বাদ দিয়ে যৌনমিলন এবং সমকামী সম্পর্ক নিষিদ্ধ। সে দেশে এই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
যদিও ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা জানিয়েছে, এই প্রতিযোগিতায় সকলেই আমন্ত্রিত। কারো জন্য বিধি-নিষেধ থাকবে না। কিন্তু নামে-বেনামে অনেকেই হোটেলে রুম বুকিং দেয়া বন্ধ করেছে বলে জানিয়েছে ডেইলি স্টার।
কাতার বিশ্বকাপে ফিফার মুখ্য নির্বাহী নাসের আল খাতের বলেন, প্রত্যেক সমর্থকের নিরাপত্তা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রকাশ্যে ব্যক্তিগত ভালবাসা দেখানো আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়। সেটা সকলের জন্যই প্রযোজ্য। তাই সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অনুরোধ রইলো।
কাতার সুপ্রিম কমিটির পক্ষ থেকেও সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। কাতার ফুটবল সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, কাতার খুব রক্ষণশীল দেশ। এখানে অনেক কিছুই সম্ভব নয়। সমকামিতা শুধু সেখানে প্রকাশ করা উচিত যে দেশে এটা মানা হয়।