বিশ্বকাপের উন্মাদনায় সামিল হতে অপেক্ষাটা চার বছরের। দম বন্ধ করা করোনা মহামারীর কারণে যা আরও বেড়েছে। পর্যটক সংখ্যায় এবারের বিশ্বকাপ ছাড়িয়ে যাবে আগের সব আসরকে। আয়োজকদের এমন ধারণার প্রমাণ দিচ্ছে টিকিট প্রত্যাশি, টিকিট বিক্রি, হোটেল বুকিং, ফ্লাইট সংখ্যা। প্রথম ধাপে বিক্রি হয়েছে আট লাখ টিকিট। এর আগে ৯৪ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেছিলো ৩৫ লাখ পর্যটক।
শুধু স্বাভাবিক ফুটবলপ্রেমী নয় প্রতিবন্ধীদের জন্যও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। স্টেডিয়ামে প্রবেশ বা গ্যালারিতে বিশেষ চেয়ারতো এতদিন ছিলোই, এবার থাকছে শাফাল্লাহ সেন্টার নামে বিশেষ সেবাকেন্দ্র। যা থাকবে স্টেডিয়ামের বাইরে। কাতারের সামাজিক উন্নয়ন ও পরিবার মন্ত্রী মরিয়ম বিনতে আলী বিন নাসের দিয়েছেন এমন সুসংবাদ।
এদিকে কাতারের আবাসন সঙ্কট আর বিশ্বকাপ কেন্দ্রিক আগ্রহ বিবেচনায় বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা রাখছে মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইন্সগুলো। ফ্লাই দুবাই, এমিরেটস, ইতিহাদ, এয়ার এরাবিয়া, গালফ ছাড়াও সে তালিকায় নাম লিখিয়েছে পিআইএ।
শুধু দুবাই থেকে দোহা গিয়ে খেলা দেখে ফিরে আসতে লাগবে ১৭০০ দিরহাম। টাকায় যার পরিমান প্রায় চল্লিশ হাজার।
রক্ষণশীল কাতারেই দেখা মিলতে পারে বিশ্বকাপের প্রথম নারী রেফারির। জাপানি ইয়োশিমি ইয়ামাশিতা তাদেরই একজন। তিনি ছাড়াও গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে আরো দু নারী রেফারি ফ্রান্সের স্তেফানি ফ্রেপার্ট ও রুয়ান্ডার সালিমা মুকানসাঙ্গা আছেন প্রধান রেফারির সংক্ষিপ্ত ৩৬জনের তালিকায়।
ফিফা রেফারি ইয়োশিমি ইয়ামাশিতা বলেন, আমার মনে হয় শুধু আমার জন্য নয় পুরো নারীদের জন্য গর্বের ব্যপার। কিভাবে খেলাটাকে পরিচ্ছন্ন রাখা যায় একজন রেফারি হিসেবে আমার সেই চেষ্টা থাকবে।
জাপানের জাতীয় লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর টোকিও অলিম্পিকে রেফারিং করার অভিজ্ঞতা আছে ইয়োশিমি ইয়ামাশিতার।