তেলের দাম আরও কমেছে ব্যারেলপ্রতি ১ ডলারের বেশি। রোববার(৩০শে অক্টোবর) ব্রেন্ট ক্রুড ও ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট(ডব্লিউটিআই) প্রতিষ্ঠান অপরিশোধিত তেলের দুই বেঞ্চমার্কেরই দাম নির্ধারণ করে দেয়। খবর রয়টার্সের।
করোনা মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক কারণে ডলারের দাম লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি শুরু হয়। আর এই পরিস্থিতিকে আরও তীব্র করে তুলে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের বাজার।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার(৩০শে অক্টোবর) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে ১ দশমিক ১০ ডলার কমে হয়েছে ৯৩ দশমিক ৫৭ ডলার এবং ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে ১ দশমিক ০৭ ডলার কমে এখন হয়েছে ৮৬ দশমিক ৮৩ ডলার। শতকরা হিসেব করলে উভয় ব্র্যান্ডের তেলের দাম ১ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে ।
গত মে মাসে ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই আই প্রতি ব্যারেলের দাম বেড়েছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা দেশ চীনের জিরো কোভিড নীতি এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো নিজেদের ডলারের মজুত রক্ষায় তেল কেনা কমিয়ে দেওয়া এর অন্যতম কারণ।
এরপর বাজার আবার চাঙ্গা করতে গত সেপ্টেম্বরে জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন শতকরা ২ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় তেল উত্তলন ও রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা পূরণ হয়নি।
অপরিশোধিত তেলের বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা এসপিআই অ্যাসেস ম্যানেজমেন্টের কর্মকর্তা স্টিফেন বলেন, ‘চীন বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ক্রেতা। যতদিন পর্যন্ত সেখানে জিরো কোভিড নীতি মেনে চলা হবে, ততদিন তেলের বাজারেও এমন মন্দা পরিস্থিতি থাকবে।’
তবে সিএমসি মার্কেট অ্যানালিসস নামের অপর একটি বিশ্লেষক সংস্থার কর্মকর্তা লিওন লি জানান, ’তেলের বাজারের এই পরিস্থিতির জন্য চীনের জিরো কোভিড নীতির পাশাপাশি ইউরোপের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটও দায়ী।’