ইসরায়েলের তেল আবিরকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের জায়গা দখল করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক। যৌথভাবে এ তালিকায় আছে সিঙ্গাপুর। ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) বার্ষিক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর বিবিসি।
ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে তেল আবির। এরপরই আছে চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং শহর।
ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় নিউইয়র্কের নাম শীর্ষ স্থানে উঠে আসার কারণগুলোর একটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ মূল্যস্ফীতি। এ কারণে ব্যয়বহুল ১০টি শহরের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের আরও দুটি শহর- লস অ্যাঞ্জেলেস ও সান ফ্রান্সিসকোও রয়েছে। এই দুটির মধ্যে হংকংয়ের সঙ্গে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস; সপ্তম অবস্থানে সান ফ্রান্সিসকো। আর সুইজারল্যান্ডের জুরিখ ষষ্ঠ অবস্থানে ও সপ্তম অবস্থানে জেনেভা। ফ্রান্সের প্যারিস নবম অবস্থানে রয়েছে। আর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও ডেনমার্কের কোপেনহেগেন রয়েছে দশম স্থানে।
ইআইইউয়ের জরিপ অনুযায়ী, চলতি বছর বিশ্বের বড় শহরগুলোয় বসবাসের খরচ গড়ে ৮ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনাভাইরাসের মহামারির প্রভাব পড়েছে পণ্য সরবরাহের ওপর। এতে বাজারে পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়েছে।
বৈশ্বিক এই জরিপ অনুসারে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। শহরটিতে মূল্যস্ফীতি ৮৬ শতাংশ। আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এইরেসে মূল্যস্ফীতি ৬৪ শতাংশ এবং ইরানের তেহরানে ৫৭ শতাংশ।
এদিকে সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল ১০ শহর হলো কলম্বো, বেঙ্গালুরু, আলজিয়ার্স, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, আলমাতি, করাচি, তাসখন্দ, তিউনিস, তেহরান, ত্রিপোলি ও দামেস্ক।
ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় এবার রাশিয়ার মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরের অবস্থান যথাক্রমে ৩৭ ও ৭৩ নম্বরে।
ইআইইউয়ের জরিপটির অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৭২টি শহরের ২০০-এর বেশি পণ্য ও সেবা দামের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। চলতি বছর ইউক্রেনের কিয়েভকে জরিপের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।