বৈশ্বিক মহামারি করোনায় আজও বিশ্বের সাড়ে ১২ হাজার মানুষের প্রাণ ঝরেছে। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ছাড়িয়েছে। নতুন করে পৌনে সাত লাখ আক্রান্ত নিয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া সুস্থতা বাড়লেও সংক্রমণের তুলনায় তা অনেকটা পিছিয়ে।
বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৮০৬ জনের দেহে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৩ জনে। নতুন করে ১২ হাজার ৫৬৪ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬৪ জনে ঠেকেছে।
আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থতা লাভ করেছেন ৪ কোটি ৯১ লাখ ৩২ হাজার ভুক্তভোগী। এর মধ্যে গত একদিনেই বেঁচে ফিরেছেন ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৮ জন রোগী।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৮টি দেশ অঞ্চলে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গরাজ্যেই দীর্ঘ হয়ে চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬০ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৩ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯২ জনের।
সংক্রমণের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ৯৭ লাখ ৯৭ হাজার। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার ২২২ জনের।
প্রাণহানিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও সংক্রমণে তিনে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার ৬৭ লাখ ৮৩ হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮০১ জনের।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ২৫ লাখ ৬৯ হাজার মানুষ। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫ হাজার ২৮০ জন।
পাঁচে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনা হানা দিয়েছে ২৩ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৫৬ হাজার ৯৪০ জনের।
দ্বিতীয় তরঙ্গে মহামারি গতি বাড়ছে যুক্তরাজ্যে। এখন পর্যন্ত সেখানে করোনা হানা দিয়েছে ১৭ লাখ ৮৮ হাজার মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৬৩ হাজার ৮২ জনের।
ইতালিতে এখন পর্যন্ত ১৭ লাখ ৮৮ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৬২ হাজার ৬২৬ জনের। সুস্থতা লাভ করেছেন দুই-তৃতীয়াংশ রোগী।
তুরস্কে করোনা হানা দিয়েছে এখন পর্যন্ত ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬৭ জনের দেহে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ লাখ সুস্থতা লাভ করলেও মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৭৫১ জনের।
স্পেনে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৭ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি। প্রাণহানি ঘটেছে ৪৭ হাজার ৩৪৪ জনের।
মেক্সিকোয় করোনার ভুক্তভোগী ১২ লাখ ৫ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৫ জনের। মৃত্যু হারে যা যেকোন দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ।
এদিকে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৫ জন মানুষ। এর মধ্যে ৪ লাখ ১০ হাজার ৪৫২ জন সুস্থতা লাভ করলেও প্রাণহানি ঘটেছে ৬ হাজার ৯৬৭ জনের।