সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নামল ১৯ বিলিয়ন ডলারে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২,৫০০ টাকা নির্ধারণ জাতীয় সংসদকে হাইকোর্টের ১৬ পরামর্শ পাকিস্তান নারী দলকে হারিয়ে দিলো বাংলাদেশ কাপুরুষের কাছে রাজনীতি শোভা পায় না: কাদের সিইসির সঙ্গে তিন গোয়েন্দা প্রধানের সাক্ষাৎ ‌‌বিএনপি দেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে- তথ্যমন্ত্রী ক্ষমতাসীনরা নাশকতা করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে : রিজভী ইসরায়েলবকে হিজবুল্লাহর হুঁশিয়ারি ইসরায়েল থেকে আরও ২ দেশের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত পেনশন স্কীমে ব্যাপক সাড়া, ৩দিনে ৪০ হাজার আবেদন, ২ কোটি টাকা জমা ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে ৫২ আবেদন, উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন প্রধান তিন দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক, চীনের খপ্পড়ে বাংলাদেশ পড়েছে কি না প্রশ্ন দুই কংগ্রেস সদস্যের বাড়তি দর নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচের পর এবার ডিম আমদানির পরিকল্পনা

বিশ্বে ১০ কোটির বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ১৮, ২০২২
বিশ্বে ১০ কোটির বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত
বিশ্বে ১০ কোটির বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত

জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থার তথ্য মতে, বর্তমানে সারা বিশ্বে ১০ কোটির বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের মধ্যে ২ কোটি ৭১ লাখেরও বেশি শরনার্থী। বিশ্বের মোট শরনার্থীর ৬৮ ভাগ এসেছে ৫টি দেশ থেকে। বর্তমান বিশ্বে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে শরনার্থীর সংখ্যা। যেসব দেশ থেকে বেশি শরনার্থী হচ্ছে তার প্রথম সারিতে রয়েছে সিরিয়া ,ইউক্রেন, আফগানিস্তান ও মিয়ানমার। এছাড়াও রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ কঙ্গো, ইথিওপিয়া, কেনিয়া ও সোমালিয়া। যার প্রধান কারণ যুদ্ধ, সংঘাত, নিপীড়ন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

যুদ্ধ ও সংঘাতের কারণে বিগত ১০ বছরে বিশ্বের উদ্বাস্তু জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে সিরিয়ার নাগরিক। এদের মধ্যে ৬৭ লাখ আশ্রয় নেন প্রতিবেশী দেশ লেবানন, জর্ডান, ইরাক, মিশর এবং তুরস্কে। আরও ত্রিশ লাখ অভ্যন্তরীণ ভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বে শরনার্থী সংখ্যায় দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ইউক্রেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৫২ লাখ ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ত্রিশ লাখ আশ্রয় নিয়েছে পাশ্ববর্তী দেশ পোল্যান্ডে। শরনার্থী সংখ্যায় তৃতীয় দেশ আফগানিস্তান। গত চার দশক ধরে যুদ্ধের কারণে দেশটি থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ২৬ লাখ অধিবাসী। ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর শরনার্থীর সংখ্যা আরও বেড়েছে।

২০১৭ সালে মিয়ানমারে সেনা অভিযানে প্রায় ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরনার্থী দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বাংলাদেশের কক্সবাজারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে বিপুল সংখ্যাক রোহিঙ্গা। এছাড়া সংঘাতের কারণে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সহিংসতা, নিপীড়ন এবং যুদ্ধ ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত হচ্ছে লাখো মানুষ। খরা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শরনার্থী বাড়ছে ইথিওপিয়া, কেনিয়া এবং সোমালিয়ায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ