সীতাকুণ্ডের বি এম কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকৎসাধীন অবস্থায় মাসুদ রানা নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৮ জুন) ভোর রাত ৪টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ-তে তিনি মারা যান। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে। কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো পুরোপুরি নিভানো যায়নি।
এদিকে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার ৪ দিনেও কোনো মামলা হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক হিসাবে সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণে প্রায় ১০০ কনটেইনারের পণ্য পুড়েছে। এসব পণ্যের বেশির ভাগই তৈরি পোশাক খাতের, যা রপ্তানির জন্য ডিপোতে নেওয়া হয়েছিলো।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ডিপোর কার্যক্রম অচল থাকায় চাপ পড়বে অন্য ডিপোগুলোতে। তাঁরা বলছেন, সাধারণত ঈদের আগে পণ্য রপ্তানি বাড়ে। অন্যদিকে আগুন নেভানোর পর ডিপোতে অক্ষত পণ্য রপ্তানি নিয়েও দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে।
বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো পুরোপুরি নিভানো যায়নি। এখন চলছে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্ধার কাজ। ওদিকে দুর্ঘটনায় আহতরা কাতরাচ্ছেন হাসপাতালে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগীদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। তাদের কেউ কেউ আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহত ১৮১জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, পার্কভিউ হাসপাতলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে বিস্ফোরণ ও আগুনে ৬৩ জনের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬ জনের চোখের সমস্যা গুরুতর।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন নেভাতে তাদের ২৫টি দল কাজ করছে। য়েয়েছে ঢাকা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ দল।