জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বুচায় হত্যাযজ্ঞ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। তবে রাশিয়ার অভিযোগ, বারবার ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা হলেও বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ইউক্রেন।
ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। যুদ্ধ বন্ধে কোনো সমাধান না এলেও বুচা হত্যাযজ্ঞের জন্য পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করে ইউক্রেন ও রাশিয়া।
বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ হচ্ছে ইউক্রেনে। এসময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বুচায় হত্যাযজ্ঞের স্বচ্ছ তদন্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘বুচায় গণহত্যা চালিয়েছে রাশিয়া। বুচার মতো আরও অনেক শহরেও যে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে তাও দেখবে বিশ্ব। এর জন্য রাশিয়াকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। জাতিসংঘে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, ‘বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে ইউক্রেন। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রতিদিনেই মানবিক পদক্ষেপ নিচ্ছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দিচ্ছে পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে।’
এদিকে, ইউক্রেনে সংঘাত কমানো এবং যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ঝাং জুন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধে করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনাই একমাত্র পথ।
বৈঠকে জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে দ্রুত সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানান মহাসচিব। এর আগে রুশ সেনারা বুচা শহরের ৩শ ২০ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন শহরটির মেয়র আনাতোলি ফেদোরুক।
বুচায় হত্যাযজ্ঞের জেরে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেনে আরও ১০ কোটি ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।