গত মাসে পূর্ব বুরকিনা ফাসোতে সন্দেহভাজন জিহাদিরা একটি সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালালে প্রায় ৬০ জন নিহত হয়। তবে সরকারি কোন প্রকৃত তথ্য পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার একটি মানবাধিকার গ্রুপ এ খবর জানিয়েছে। জাতীয় এবং আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের কোন মন্তব্য এএফপি সংগ্রহ করতে পারে নি।
‘বুরকিনাবে মুভমেন্ট ফর হিউম্যান অ্যান্ড পিপলস রাইটস (এমবিডিএইচপি) এক বিবৃতিতে বলেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘কমিউনে’(পার্টিয়াগা) হামলা চালিয়ে হত্যা, সম্পত্তি ধ্বংস করেছে এবং গবাদি পশু নিয়ে গেছে।
‘নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো হস্তক্ষেপ না থাকায় স্থানীয় জনগনের মধ্যে সারাদিন আতঙ্ক বিরাজ করছিল।’ মানবাধিকার সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ হামলায় প্রায় ৬০ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি বেশকিছু নিখোঁজ রয়েছে। ’
‘এমবিডিএইচপি’ হতাহতের সরকারি পরিসংখ্যান না পাওয়ার কড়া সমালোচনা করেছে। পূর্বাঞ্চলের গভর্নর হুবার্ট ইয়ামিওগো গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ একটি নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হবে।’
এমবিডিএইচপি বলেছে, হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং মানুষের ‘বিপুল সংখ্যাক লোক বাস্তচ্যুত হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে ‘জনসংখ্যা এবং তাদের সম্পত্তি সুরক্ষিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
হামলার পর, স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের সম্প্রদায়কে আঘাত করার ‘ভয়ঙ্কর’ বর্ণনা দিয়ে বলেছে, সেনাবাহিনী এলাকা থেকে পালিয়েছে।
হামলার তিন দিন পর, কয়েক হাজার মানুষ ‘আরো নিরাপত্তার দাবিতে নিকটবর্তী শহর দিয়াপাগায় বিক্ষোভ করে।
বছরের শুরু থেকে বুরকিনা ফাসোতে জিহাদি সহিংসতা তীব্র হয়েছে, প্রায় সপ্তাহে কয়েকজন সৈন্য নিহত হয়েছে।