বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টি কম হওয়ায় পানি সংকটে শুকিয়ে গেছে তিস্তা নদী। এ কারণে লালমনিরহাটের চরাঞ্চলে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের আওতায় এসব জমিতে চাষাবাদ হতো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানালেন, তিস্তা ব্যারেজের শাখা খালগুলোর সংস্কার চলছে। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর নিলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া জেলার অনাবাদি জমি সেচের আওতায় আনতে গড়ে তোলা হয় তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্প। সুফলও মিলেছিল। তিস্তার পানি ব্যবহার করে ধান, গম, ভুট্টা ও সরিষাসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফসল ঘরে তোলার সুযোগ হয় চাষীদের।
কিন্তু বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় তিস্তা এখন শুকনো। পানি নেই তিস্তা ব্যারেজের শাখা খালগুলোতে। ফলে লালমনিরহাটে ৪০টি চরাঞ্চলের ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দিতে পারছেনা চাষীরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানালেন, তিস্তা ব্যারেজের সেচ প্রকল্পের মূল খালে পানি থাকলেও, সংস্কার না করায় শাখা খালগুলোয় পানি প্রবাহ কমে গেছে। তবে এগুলো সংস্কারের কাজ চলছে। বর্তমানে তিস্তায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার কিউসেক।