ভারি বর্ষণে একদিকে তলিয়ে যাচ্ছে শহর-গ্রাম, আর দামের ভারে হালকা হচ্ছে ক্রেতার পকেট। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কমলেও প্রায় সব ধরনের মশলার দাম চক্রবৃদ্ধি সুদের হারের মতো বেড়েই চলেছে।
লাগামহীন বাজারে হিসাবের টালিখাতা সামলাতে হাঁসফাস ক্রেতা। প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে মসলার দাম। কেন? তার অবশ্য কোনো গ্রহণযোগ্য উত্তর মেলে না বিক্রেতাদের কাছে। বরং কোরবানি পর্যন্ত এই দাম বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলেই শঙ্কা তাদের।
এদিকে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় বাড়েনি আদা-রসুন-পেঁয়াজের দাম। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৪০ টাকা, দেশি আদা ১২০ টাকা, আমদানি করা আদা ১২০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম আর নতুন করে বাড়েনি। তবে আমিষের উৎস মুরগির দাম খানিকটা কমেছে। দাম কমার তালিকায় যুক্ত হয়েছে সব ধরনের মুরগি। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি আর সোনালি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।
সবজির বাজার এখনো চড়া। কেজিপ্রতি ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ৩০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে তেল, চাল, আটা ও ডালের দাম।
নিত্যপণ্যের দামের ভারে ঝিমিয়ে পড়া মানুষ আবার কবে ঘুরে দাঁড়াবে সেই প্রশ্নই এখন সবচেয়ে মুখ্য।