বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: বোরো মৌসুমে চাষের জন্য ধানের নতুন আরো ১০টি জাতের নিবন্ধন ও ছাড়করণ হয়েছে।
এসব জাতের ধানের মধ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত দুইটি ইনব্রিড, বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত একটি ইনব্রিড, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের একটি ইনব্রিড ও অন্য কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ছয়টি হাইব্রিড জাতের নিবন্ধন দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষিসচিব ও জাতীয় বীজ বোর্ডের চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বোর্ডের ১০৬তম সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
ব্রি উদ্ভাবিত ছাড়কৃত ব্রি-ধান ১০১ ব্যাকটেরিয়াজনিত পোড়া রোগ প্রতিরোধী ও ব্রি-ধান১০২ জিংকসমৃদ্ধ। ট্রায়ালে ব্রি-ধান ১০১-এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭.৭২ মেট্রিক টন, আর ব্রি-ধান ১০২-এর ৮.১১ মে. টন। ব্রি-ধান ১০২ ধানে জিংকের পরিমাণ ২৫.৫ মিলিগ্রাম/কেজি।
বিনা উদ্ভাবিত বিনা ধান-২৫ ট্রায়ালে গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭.৬৪ মে. টন পাওয়া গেছে। এটির চাল অতি লম্বা ও সরু, ভাত সাদা, ঝরঝরে ও সুস্বাদু। এর জীবনকাল ১৪৫ দিন।
ব্র্যাক উদ্ভাবিত ব্র্যাক ধান-২ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭.৩৬ মে. টন। এটির দানা চিকন ও সুগন্ধযুক্ত। আগাম জাতের এ ধানের জীবনকাল ১৩৯ দিন।
এ সময় কৃষিসচিব বলেন, হাইব্রিডের ফলন বেশি। স্বল্প জমি থেকে বেশি উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এখন হাইব্রিডের জাত উদ্ভাবন ও আবাদ বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রায় ২১৮টি জাতের নিবন্ধন হয়েছে। এখন থেকে আরও মানসম্পন্ন ও দীর্ঘসময় ধরে কৃষককে লাভবান করবে, এমন জাত নিবন্ধনে গুরুত্ব দেয়া হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (বীজ) আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো: বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলামসহ বীজ বোর্ডের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।