প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়ন পরিকল্পনা হতে হবে ব্যয় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। তিনি আইইবি’র ৬১তম কনভেনশনে কৃষিসহ অন্যান্য খাতে উদ্ভাবনী শক্তি ব্যবহার করে দেশের কল্যাণে কাজ করতে ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি আহবান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রকৌশলীরা বড় অবদান রাখে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে সর্বোচ্চ মেধা দিয়ে আন্তরিকতার সাথে কাজ করেন তারা। আইইবি দেশের মানুষের সেবা করে যাচ্ছে, দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতে কিভাবে এগিয়ে যাবো সেই কৌশল কি হবে তা নিয়ে আলোচনা করার আহবান প্রকৌশলীদের।’
তিনি জানান, সরকার প্রকৌশলীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। প্রকৌশলীদের দক্ষতা উন্নয়নে নেয়া পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে সরকার।
তিনি বলেন, কীভাবে জ্বালানি উদ্ভাবন করতে পারি, কীভাবে আমরা স্বল্প খরচে উন্নয়নের কাজটা সচল রাখতে পারি, যোগাযোগ ব্যবস্থার কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি, সেটা চিন্তা করেই প্রকল্প নিতে হতে। আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, তৃণমূল থেকেই উন্নয়নটা করা। তৃণমূল থেকে মানুষের মাথাপিছু আয়টা বৃদ্ধি করা। তৃণমূল থেকে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে শিল্পায়নের সাথে সাথে আমাদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, আমাদের নিজস্ব বিশাল বাজার, সেই বাজার আমাদের সৃষ্টি করতে হবে এবং সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। এরইমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশে করা হয়েছে, এখন স্মার্ট বাংলাদেশে করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, দেশের উন্নয়নে গতিশীলতা আসুক সেটাই চায় সরকার। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। দেশের উন্নয়নে ভূমিকা আছে প্রকৌশলীদের। পরিবেশবান্ধব, টেকসই, খরচের দিক বিবেচনা করে উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরির আহবান জানান প্রকৌশলীদের প্রতি।
‘কিছু লোক কাজ পাবে, কমিশন পাবে এজন্য যেন কোন প্রকল্প নেয়া না হয়, মানুষ ও দেশ উপকৃত হবে এমন প্রকল্প নিতে হবে।’, প্রধানমন্ত্রী বলেন।
তিনি কৃষিসহ অন্যান্য খাতে উদ্ভাবনী কাজের মাধ্যমে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহবান জানান প্রকৌশলীদের প্রতি।সরকার বিদুৎ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাইড্রোজেন বিদুৎ কিভাবে উৎপাদন করা যায় তা নিয়েও কাজ করছে সরকার।
রাস্তা বানাতে উচ্চ খরচ নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তাদের বাংলাদেশের মাটি সম্পর্কে কোন ধারণা নেই বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য। তবে উন্নয়ন পরিকল্পনা হতে হবে পরিবেশবান্ধব ও ব্যয় সাশ্রয়ী। যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কারণেই সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
এবারের কনভেনশনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’। এ কনভেনশনের মূল আকর্ষণ ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফরমিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার। দেশের প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশন এটি।