সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ছয় বছরের জন্য নারী ফুটবল দলের স্পন্সর ‘ঢাকা ব্যাংক’ দেশের ফুটবল নিয়ে উঠছে ব্যর্থতার নানা প্রশ্ন চাহিদা থাকলেও ভিসা জটিলতায় পিছিয়ে আমিরাতে শ্রমিক নিয়োগ ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কুয়াকাটা সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, রোববার ঈদ চীন সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ভোটাধিকার হরণের চেষ্টা করলে বিএনপি আবার মাঠে নামবে: মির্জা ফখরুল সংস্কারের কথা বলে জনগণের সাথে লুকোচুরি খেলা হচ্ছে: রিজভী আগামীকাল ফ্রান্সে ঈদুল ফিতর ভারত-পাকিস্তান পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘোষণা করেছে সোমবার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হওয়া ৪১০টি মামলা প্রত্যাহার পরম শ্রদ্ধায় ড. ইউনূসকে বিদায় জানালো চীন ভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে জেলা প্রশাসকের বাংলো থেকে সংসদ নির্বাচনের সিল মারা ব্যালট উদ্ধার অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার

‘ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ লুটপাট’

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : মে ১৭, ২০২২

হাওরে বাঁধ নির্মাণে বরাদ্দ করা টাকা আওয়ামী লীগের নেতা ও আত্মীয়স্বজনরা ভাগাভাগি করে নেয়ার ফলে বন্যায় ফসল ডুবে কৃষকেরা সর্বস্বান্ত হয়েছে। একারণে ভরা মৌসুমেও বাড়ছে চালের দাম।

সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কোথাও চাষি তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না বলেও জানান তিনি। বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে কোন কাজই করছে না। সরকার ব্যস্ত নিজেদের আখের গোছাতে। যেখানে নিজস্ব মুনাফা হয়, নিজেদের পকেট ভরে সেই দিকেই সরকারের মনযোগ বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু কৃষির ওপর সরকার কখনোই মনযোগী নয় বলে অভিযোগ তার।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কৃষকদলের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত হাওর অঞ্চল সরেজমিনে পরিদর্শন ও কৃষকদের দুর্দশার চিত্র দেখে এসেছেন। সরকারী দুর্নীতিরোধ, হাওরের কৃষকদের দুর্দশা লাঘব ও শস্য নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের কিছু সুপারিশ আমি এখন আপনাদের মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরছি।

১. হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করতে হবে। এই দুর্নীতির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

২. বছর বছর বাঁধ নির্মাণ না করে সিমেন্ট ও বালু দিয়ে তৈরিকৃত ব্লক ফেলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।

৩. ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনাসুদে বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. ঋণগ্রস্ত কৃষকের ঋণের সুদ মওকুফ এবং স্বাভাবিক অবস্থা না ফেরা পর্যন্ত ঋণের কিস্তি নেয়া বন্ধ করতে হবে।

৫. হাওর অঞ্চলে শস্যবীমা চালু করতে হবে।

৬. হাওর অঞ্চলের কৃষকের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য গণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

৭. দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ