ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গমের সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেয়। সেই সঙ্গে খাদ্যপণ্যটির দাম বেড়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে গমের জোগানের জন্য ভারতের নির্ভরশীল হয়ে পড়ে দেশগুলো।
গত মার্চে দেশটিতে খাদ্যপণ্যটি রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হয়। ফলে তা সরবরাহের সমস্যা ছিল না তাদের। তবুও গতকাল শনিবার সরকারি অনুমোদন ছাড়াই গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত।
ইতোমধ্যে জার্মানিতে সাত শিল্পোন্নত দেশ জি-সেভেনের কৃষিমন্ত্রীদের বৈঠক হয়েছে। সেখানে ভারতের এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন তারা। মন্ত্রীরা বলেন, বিভিন্ন দেশে নিত্যপণ্যসহ খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশটির এ পদক্ষেপ উদ্ভূত পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে জার্মানির কৃষিমন্ত্রী জেম ওজদেমির স্টুটগার্টে বলেন, সবাই রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ কিংবা বাজার বন্ধ করলে সংকটময় অবস্থার অধিকতর অবনতি ঘটবে।
ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর সরবরাহ সংকটের আশঙ্কায় বিশ্বব্যাপী গমের দাম বেড়ে যায়। এর আগে বিশ্বব্যাপী গম রপ্তানির ১২ শতাংশ সরবরাহ করতো রাশিয়া।
সারের ঘাটতি এবং ফসলের কম উৎপাদনের ফলে খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। ফলে দরিদ্র দেশে দুর্ভিক্ষ ও সামাজিক অস্থিরতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পাম ওয়েল রপ্তানি বন্ধ এবং ভারতের গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার পর ক্রমবর্ধমান সুরক্ষাবাদ দেখা দেয়ার উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ ভারত। কম উৎপাদন এবং সারা বিশ্বে উচ্চমূল্যসহ নানা কারণে নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত দেশটি। তাই এ পথে হেঁটেছে তারা।