ভারত থেকে ১০ লাখ টন গম আনছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি দেশটি থেকে আরও গম আনতে চায় ঢাকা। সেজন্য ভারতকে নতুন করে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পদ্মা সেতুর জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছে ভারত। আর আইনি প্রক্রিয়া শেষে পি কে হালদারকে ফেরত পাঠাবে ভারত।
রোববার (১৯ জুন) নয়াদিল্লিতে সপ্তম যৌথ পরামর্শক কমিশন (জেসিসি) বৈঠক শেষে সোমবার (২০ জুন) ঢাকার বিমানবন্দরে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, ১০ লাখ টন গম আনব আমরা। তারা এখন সব বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। তবে এরই মধ্যে যারা এলসি করেছে তারাই গম আনতে পারবে।
তিনি বলেন, আমরা আরও গম আনতে চাইছি। সেজন্য আমরা জিটুজি করব। আমরা নতুন প্রস্তাব দিয়েছি। তারা বলেছে, এটা বিবেচনা করবে।
দুই দেশের সম্পর্কের সামগ্রিক দিক নিয়ে আলোচনা হয় জেসিসি বৈঠকে। বৈঠকে ঢাকার পক্ষে ড. মোমেন ও নয়াদিল্লির পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নেতৃত্ব দেন।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফর নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নিয়ে আলোচনা করছি। আগস্টে যাওয়া যাবে না। এছাড়া সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় ভাগে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন। তারাও সেভাবে একটি তারিখ দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।
গেল এপ্রিলে জয়শঙ্কর ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রীকে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের হিসাব অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যে মোট বাণিজ্য ১৬০০ কোটি ডলার এবং ভারতের হিসাব মতে ১৮০০ কোটি ডলার। এরমধ্যে আমাদের রফতানি ২০০ কোটি ডলার। এটি বাড়ানো দরকার।
রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, আমরা তাদের বলেছি এর দ্রুত সমাধান না হলে এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ বাড়তে পারে। এটি কারও জন্য ভালো হবে না। এজন্য তাদেরও এগিয়ে আসা উচিত। তারা চেষ্টা করবে বলেছে।
জেআরসি বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বারবার উদ্যোগ নিয়েছি জেআরসি বৈঠক করার। কিন্তু তারা শুধু বলে যে হবে। এখনও নির্দিষ্ট তারিখ পাইনি। আশা করবো প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে জেআরসি বৈঠক হবে।
তিনি বলেন, কয়েকটি নদীর সীমানা চিহ্নিত করা নিয়ে সমস্যার কথা উঠেছে। এবারের বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়েছে যে যৌথভাবে এটি পর্যবেক্ষণ করা হবে।