নতুন কহেলা কলেজ মির্জাপুর টাংগাইল এ ইমাম হোসেন মোঃ ফারুক জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ নিয়ে সরকারী বেতন ভাতাদি উত্তোলন করছেন ডিসেম্বর ২০১৭ সাল থেকে জুলাই২০২৪ সাল পর্যন্ত।
সম্প্রতি তার এই নিয়োগ ও চাকরি করার বিষয়টি নতুন কহেলা কলেজ সভাপতি স্থানীয় ইউএনও এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযোগ প্রদান করেছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষকবৃন্দ। কলেজের প্রতিষ্ঠাতাসহ স্থানীয় অভিভাবকদের পক্ষ থেকে তাকে অপসারণ ও নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতাসহ স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, ইমাম হোসেন মোঃ ফারুক একসময় এই কলেজের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট শাখার অধ্যক্ষ হিসেবে চাকরি করতেন। ২০০৩ সালে যোগদানের পর ২০০৪ সালে এমপিও ভুক্ত হন। এবং ঐ শাখাতেই তিনি ০৮/০৩/২০১০ ইং পর্যন্ত চাকরি করেন। এক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম দুর্নীতি ও আয়ব্যয়ের হিসেব জালিয়াতি ও কলেজ শিক্ষক কর্মচারীদের সঙ্গে দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। এতে তিনি হিসাব বুঝিয়ে না দিয়ে ২০১০ সালের ০৮ মার্চ পদত্যাগ করেন এবং ০১/০৪/২০১০ ইং তারিখে ঢাকার উত্তরা ক্রিডেন্স কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।
মাত্র আটমাস চাকরি করার পর উত্তরা ক্রিডেন্স কলেজ তাকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে চাকুরীচ্যুত করেন। ২০১৬ সালে টাংগাইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক কলেজের সভাপতি হলে তাকে পদত্যাগের কথা গোপন রেখে আবারও কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করে সাধারণ কলেজ শাখায় অধ্যক্ষ হিসেবে ডিসেম্বর ২০১৭ এমপিও ভুক্ত হন। যা সরকারি এমপিও নীতিমালা পরিপন্থীবলে প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষকবৃন্দ অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে ইমাম হোসেন মোঃ ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।