বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: প্রত্যাশী সংস্থাগুলোকে ভূমি সাশ্রয়ী ও টেকসই স্থাপনা পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে কম জমির মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য আহবান জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণের আবেদনের সময় অপরিহার্য ক্ষেত্রের বাইরে অতিরিক্ত জমি না চাওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
বুধবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এই আহবান করেন।
এই কমিটি ৫০ বিঘা পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন দিতে পারে । এর অধিক পরিমাণ জমি হলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমানসহ ভূমি মন্ত্রণালয় ও প্রত্যাশী সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে জমির বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে জমির প্রাপ্যতা অব্যাহতভাবে কমে যাচ্ছে। মূল্যবান জমির অপচয় রোধে ভূমির টেকসই ও দক্ষ ব্যবহার প্রয়োজন। নাহলে একসময় অতি জরুরী উন্নয়ন কিংবা সেবামূলক প্রকল্পের জন্য আদর্শ জমি পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভূমির দক্ষ ব্যবহারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর অনুশাসন রয়েছে। এজন্য কৃষিজমি রক্ষার অংশ হিসেবে দুই বা তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণ না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতোমধ্যে একটি পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
ভূমিমন্ত্রী এসময় প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জেলা ও উপজেলায় পৃথক পৃথক ভবনের পরিবর্তে সরকারি অফিসের জন্য একই স্থানে পরিকল্পিতভাবে সমন্বিত ভবন নির্মাণ এবং গুচ্ছাকারে এক বা একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে একই মন্ত্রণালয় বা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সরকারি, আধাসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস বা আবাসিক স্থান সংকুলান সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
টেকসই ও দক্ষ ভূমি ব্যবহারে জমির যেমন সাশ্রয় হবে তেমনি সরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে মানুষের যাতায়াতও কমে যাবে। ফলে মানুষের ভোগান্তিও অনেকাংশে কমে যাবে বলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী মনে করেন।
জনসাধারণের প্রয়োজন বা জনস্বার্থে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় সম্পাদিত হয়। প্রত্যাশী সংস্থার আবেদনমতে জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে প্রয়োজন অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণ অধ্যাদেশ অনুসরণে স্বল্প সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ভূমি অধিগ্রহণ বা হুকুমদখল করে প্রত্যাশী সংস্থার বরাবরে ন্যস্ত করা হয়।