বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে জবাবদিহিমূলক সরকার থাকলে নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ত না।
সোমবার (২ মে) সকালে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, যদি দেশে জবাবদিহিমূলক সরকার থাকত, তাহলে তারা সয়াবিন তেলের সিন্ডিকেট-কালোবাজারি করছে যারা, তাদেরকে গ্রেপ্তার করতো। কিন্তু তা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে টাকা পাচার হচ্ছে, ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে। এতে স্বল্প আয়ের মানুষ, শ্রমিকদের আয় বাড়েনি।
সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভিঘাতে ক্ষত-বিক্ষত বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রমজান মাস জুড়ে বিএনপির নেয়া ধারাবাহিক কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন রিজভী।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিক দলের আবুল খায়ের খাজা, মুস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে রিজভী জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
ঈদযাত্রায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষদের দুর্ভোগে পোহাতে হয়েছে। অত্যন্ত কষ্টে তাদেরকে ঈদ পালন করতে হচ্ছে। এমনিতেই তো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে অভিঘাত সেই অভিঘাতে ক্ষত-বিক্ষত এদেশের সাধারণ মানুষ।
তিনি বলেন, তার উপরে ঈদে মানুষ কেনা-কাটা করে, সন্তান-সন্ততিসহ আত্মীয়-স্বজনদের নতুন জামা-কাপড় দেয়, সেই জামা-কাপড় কেনার উপায় কতটুকু ছিলো নিম্ন-মধ্য আয় ও স্বল্প আয়ের মানুষদের? সবাই শ্রমিক, এরা শ্রমজীবী মানুষ– এদের প্রত্যেকের বাসায় কিভাবে ঈদ হচ্ছে আমরা জানি না। এরা তাদের সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের ঈদ উপহার দিতে পেরেছেন কিনা এটা আমার জানা নেই।
ঘরমুখো মানুষজন বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষরা ‘কষ্টে’ বাড়ি যেতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।