বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন মধ্যবিত্তদের জন্য টিসিবি’র পণ্য সরবরাহের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। যেখানে মধ্যবিত্তরাও নায্যমূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের টিসিবির দোকান যদি স্থায়ী হয়ে যায় তাহলে ১০ হাজারের মতো নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। বর্তমানে শুধুমাত্র নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের টিসিবি পণ্যের কার্যক্রমে আনা হয়েছে।’
আজ (রোববার, ২ জুন) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১২ তে মাসব্যাপী বাজারে পণ্যের দামে লাগাম টানতে টিসিবির মাধ্যমে সারাদেশে এক কোটি কার্ডধারী ক্রেতাদের মাঝে মাসিক পণ্য বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আসছে অর্থবছরে বাজার কীভাবে আরও নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এছাড়া বাড়ানো হবে টিসিবির কার্যক্রমও।’
নিত্যপণ্যের চড়া দামে আর্থিকভাবে চাপে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। সীমিত আয়-রোজগারে খাবারের যোগান নিশ্চিত করতেই হিমশিম খেতে হয় তাদের। ফলে বাজারে এলেই বাজেটে করতে হয় কাটছাঁট।
ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দেয় টিসিবি’র স্বল্প মূল্যে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম। ৫৪০ টাকার প্যাকেজে পাওয়া যাচ্ছে ৪টি পদের পণ্য। তবে এই কার্যক্রম আরও বাড়ানোর দাবি জানান ক্রেতারা।
স্বল্পমূল্যে টিসিবি’র পণ্য কিনতে এসে ক্রেতারা বলেন, ‘বাজারের বাড়তি দামে নাকাল তাদের জীবন। তাই টিসিবির এই কার্যক্রমের পরিসর আরও বাড়ানোর দাবি জানান তারা।’
টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী ক্রেতারা, ৫৪০ টাকার প্যাকেজে পাচ্ছেন ৭০ টাকায় এক কেজি চিনি, ১২০ টাকায় দুই কেজি মশুর ডাল, ২০০ টাকায় দুই লিটার সয়াবিন তেল ও ১৫০ টাকায় পাঁচ কেজি চাল। বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে পণ্য পাওয়ায় খুশি ক্রেতারা।
এদিকে ঈদে যেন পণ্যমূল্য না বাড়ে সেজন্য আগে থেকেই বাজারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।