শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সেভেন সিস্টার্স, হিন্দু ও পাকিস্তান নিয়ে চিন্তিত কেন ভারত? শীতের তাণ্ডব, তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১০ ডিগ্রিতে মুসলিম বলেই বসবাস করতে দেবেন না হিন্দুরা ডেঙ্গুতে আরও ৩ মৃত্যু, শনাক্ত ১৮৬ কলকাতা মিশনে ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিত করল বাংলাদেশ ভারতের অপপ্রচারে আমাদের কোনো ক্ষতি নেই : উপদেষ্টা সাখাওয়াত ‘বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে কঠোর জবাব দেয়া হবে’ পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, বিজিবির কড়া প্রতিবাদ আমাদের ঘৃণা করে এমন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য নয়: রিজভী ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধর্ম নিয়ে বিভেদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না: খন্দকার মোশাররফ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় ৪৯ গণমাধ্যমে গুজবের ছড়াছড়ি ‘স্বৈরাচারের দোসররা এখনও ষড়যন্ত্র করছে’ দিল্লি চলো কর্মসূচি ঘিরে আবারও উত্তাল ভারত শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমলেও ভোগ্যপণ্যে নাভিশ্বাস

মসজিদে তালা দিয়ে আগুন, ১১ মুসল্লির মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট : মে ১৭, ২০২৪
মসজিদে তালা দিয়ে আগুন, ১১ মুসল্লির মৃত্যু

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুনে পুড়ে ১১ মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের একটি মসজিদে এক ব্যক্তির হামলায় অন্তত ১১ জন মুসল্লি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা বলেছে, এক ব্যক্তি মসজিদে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর আগে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং এতে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি আটকা পড়েন।

বিবিসি বলছে, উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলার সূত্রপাত হয়। পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

বাসিন্দারা বলেছেন, হামলার পর মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কানো শহরে বোমা বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারী দলগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে হামলায় বোমা ব্যবহার করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

কানো ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন লাগার পরপরই তাদের ডাকা হয়নি, আরও আগে জানানো হলে তারা আরও দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতেন। কানো ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র সামিনু ইউসুফ বিবিসিকে বলেছেন, স্থানীয়রা আগুন নেভানোর পরেই তাদের জানানো হয়েছিল।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর স্থানীয় পুলিশ প্রধান উমর সান্দা সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নয়। বরং এটি সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তি বর্তমানে আমাদের কাছে আছে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ