মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই ঘোষণাপত্র- বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক আরেক মামলায় খালাস, কারামুক্তিতে আর বাধা নেই বাবরের জকোভিচের দারুণ জয়, আলকারাজও দ্বিতীয় রাউন্ডে মডেল তিন্নি হত্যা: খালাস পেলেন সাবেক এমপি অভি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে নয়, জামায়াতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নেই: মির্জা ফখরুল প্রধান উপদেষ্টাকে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে: রিজভী ৩১ জানুয়ারির পর অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টিউলিপকে পদত্যাগ করার আহ্বান ইউকে অ্যান্টি-করাপশনের মোদির ডিগ্রি প্রশ্নে তথ্য দিতে নারাজ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ২৭ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৪৬ জন শিশু ও নারী শহীদ: উপদেষ্টা শারমীন গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত চূড়ান্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে প্লট দুর্নীতির পৃথক মামলা চীনজুড়ে চলছে শীতকালীন বরফ উৎসব

মহাকাশে তৃতীয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ২৮, ২০২২
মহাকাশে তৃতীয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী

কল্পনা চাওলা, সুনীতা উইলিয়ামসের পর তৃতীয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী হিসেবে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন শিরিষা বান্দলা। তবে কল্পনা ও সুনীতার চেয়ে তার জীবনের গল্পটা একটু ভিন্ন। ছোট থেকেই মহাকাশচারী হতে চেয়েছিলেন শিরিষা। তবে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় শারীরিক অক্ষমতা। দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হওয়ায় নাসা-র মহাকাশচারী হতে পারেননি তিনি।

তবে কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে সব হয়। প্রবল মনোবল আর ইচ্ছের শক্তিতেই অক্ষমতা থাকা সত্বেও নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন শিরিষা। নাসার মহাকাশচারী না হতে পেরে ইঞ্জিনিয়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। এই পেশার সূত্রেই পাড়ি দিয়েছেন মহাকাশ।

ব্রিটিশ বিলিওনিয়ার ব্যবসায়ী রিচার্ড ব্র্যানসনকে নিয়ে ভার্জিন গ্যালাকটিক নামে একটি যান মহাকাশে পাড়ি দেয় ২০২১ সালের জুলাইয়ে। এই মহাকাশ যানে চড়েই নিজের স্বপ্ন পূরণ করেন শিরিষা।

১৯৮৭ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলায় জন্মেছিলেন শিরিষা বান্দলা। বাবা ডাক্তার মুরলীধর বান্দলা, মা অনুরাধা বান্দলা। তবে জন্মের পরই বাবা-মায়ের সঙ্গে আমেরিকার হিউস্টনে চলে গিয়েছিলেন শিরিষা। বড় হয়েছেন সেখানেই। ২০১১ সালে আমেরিকার পারিডু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন শিরিশা। তারপর ২০১৫ সালে জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।

পড়াশোনা শেষ করে শিরিষা বান্দলা, মহাকাশ নীতি নির্ধারক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন কমার্শিয়াল স্পেসফ্লাইট ফেডারেশনে। বর্তমানে তিনি ভার্জিন গ্যালাকটিক্স এবং তার সিস্টার সংস্থা ভার্জিন অরবিট-এর সরকারি বিষয়ক এবং ব্যবসায়ীক বিকাশকারী হিসাবে কর্মরত।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের ছোট্ট একটি গ্রাম থেকে উঠে আসা শিরিষা জানিয়েছেন তার মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। শিরিষা বলেন, যখনই আকাশের তারাদের দিকে তাকাতাম, মনের মধ্যে অনেক কৌতূহলের উদ্রেক হতো। ভাবতাম আমিও একদিন ওখানে যাবো। ছোট থেকেই মহাকাশচারী হতে চেয়েছিলাম…মহাকাশচারী হওয়া আমার শুধু স্বপ্নই ছিল না। তা একটি লক্ষ্য ছিল। তিনি জানান, মহাকাশযাত্রা তাঁর কাছে একদিকে যেমন ‘অবিশ্বাস্য’, অন্যদিকে তিনি এতে সম্মানিতও।

কল্পনা চাওলার ভূমিকা তাঁর জীবনে যে কতখানি, সে কথাও তিনি উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কল্পনা চাওলার সঙ্গে কখনও দেখা হয়নি। কিন্তু আমার জীবনে ওঁর গভীর প্রভাব রয়েছে।’’

এই ভারতীয়-মার্কিন অ্যারোনাটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের দাদু ডাক্তার রাগাইয়া এখনও গুন্টুরেই থাকেন। তিনি জানিয়েছেন, শিরিষা খুবই সাহসী। সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়েও অসম্ভব শক্তিশালী। ছোট থেকেই তাঁর মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ ছিল।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ