শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ছয় বছরের জন্য নারী ফুটবল দলের স্পন্সর ‘ঢাকা ব্যাংক’ দেশের ফুটবল নিয়ে উঠছে ব্যর্থতার নানা প্রশ্ন চাহিদা থাকলেও ভিসা জটিলতায় পিছিয়ে আমিরাতে শ্রমিক নিয়োগ ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কুয়াকাটা সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, রোববার ঈদ চীন সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ভোটাধিকার হরণের চেষ্টা করলে বিএনপি আবার মাঠে নামবে: মির্জা ফখরুল সংস্কারের কথা বলে জনগণের সাথে লুকোচুরি খেলা হচ্ছে: রিজভী আগামীকাল ফ্রান্সে ঈদুল ফিতর ভারত-পাকিস্তান পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘোষণা করেছে সোমবার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হওয়া ৪১০টি মামলা প্রত্যাহার পরম শ্রদ্ধায় ড. ইউনূসকে বিদায় জানালো চীন ভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে জেলা প্রশাসকের বাংলো থেকে সংসদ নির্বাচনের সিল মারা ব্যালট উদ্ধার অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার

মাউশি ঢাকার সাবেক ডিডি সাখায়েতের সহযোগী সালমার দুর্নীতি তদন্তে কমিটি

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : অক্টোবর ১, ২০২১

বৃত্তান্ত প্রতিবেদক : জালিয়াতির মাধ্যমে দাখিল মাদ্রাসায় ৫ জন শিক্ষককে অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত করার কাজে জড়িত থাকা, দূর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন ও সরকারের অনুমতি ছাড়া একটি বেসরকারি ক্লিনিকের মালিক হওয়ার অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি), ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালকের কার্যালয়ের অফিস সহকারি মােছা: সালমা খাতুনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মাউশি।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর এ তদন্ত শুরুর জন্য মাউশির কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক, ঢাকা অঞ্চলের উপপরিচালক ও সহকার পরিচালককে সদস্য করে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত চিঠিতে মাউশি ঢাকার উপপরিচালককে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে।
গত আগস্ট জমা হওয়া জনৈক জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ তদন্ত করা হচ্ছে।
একই অভিযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দূর্নীতি দমন কমিশনও (দূদক) তদন্ত শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
অভিযােগে বলা হয়, মাউশি ঢাকা অঞ্চলের অফিস সহকারি সালমা খাতুন মােটা অংকের টাকা নিয়ে চর বামন্দি ইয়াসিন আলি দাখিল মাদ্রাসা, মধুখালী, ফরিদপুর এর তিনজন সহকারি শিক্ষক মাে. অহিদুজ্জামান (ইনডেক্স নং: D৩৩৭১৮৪), আল কালাম আজাদ (ইনডেক্স নং: D৩৩৭১৮৮) ও শাহানা পারভীন (ইনডেক্স নং:D২০০১৬০১) কে ১০ম গ্রেডের (১৭,৫০০ টাকার) স্থলে ৭ম গ্রেডে (৩০,৫০০ টাকায়) এমপিওভুক্ত করে দেন।
একটি মাদ্রাসায় শুধুমাত্র সুপার পদের জন্য ৭ম গ্রেড বরাদ্দ থাকলেও ওই মাদ্রাসার এমপিও সিট অনুযায়ী সেখানে সুপারসহ চারজন শিক্ষক ৭ম গ্রেড ভােগ করছে, যা এমপিও আইনের বিরুদ্ধে। এতে ব্যাপক সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে।
এছাড়াও এমপিও শাখার অফিস সহকারী সালমা খাতুন অর্থের বিনিময়ে একই মাদ্রাসার এবতেদায়ি সহকারি শিক্ষক আব্দুস সালাম (ইনডেক্স নং: D৩৩৭৮৩৭) এবং অলিউর রহমানকে (ইনডেক্স নং: D৩৩৭১৯০) ১৫তম গ্রেডের স্থলে ১১তম গ্রেডে দাখিল স্তরে সহকারি শিক্ষক হিসেবে অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত করেছেন। এই জালিয়াতি ধরা পড়ায় আতঙ্কে আছেন মাদ্রাসার সুপারসহ শিক্ষক-কর্মচারিরা।
তাছাড়া অতিরিক্ত টাকা কর্তন করে সরকারি কোষাগারে ফেরত নেওয়া এবং এমপিও সংশােধন করা জরুরি মনে করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসী।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে এমপিও স্থানান্তরের আগে সালমা এমন আরো অনেক শিক্ষককে অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, এসব কাজে সালমার অন্যতম প্রশ্রয়দাতা সুবিধাভোগী ছিলেন সদ্য বিদায়ী উপপরিচালক সাখায়েত হোসেন বিশ্বাস।

জানা যায়, উপপরিচালক সালমা খাতুনকে নিয়ে এমপিওভুক্তির সময় কৌশলে অনলাইনের পাসওয়ার্ড জেনে নিয়ে সালমার বাসায় এসব কাজ করেন। শিক্ষকদের এসব টাকা ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর থেকে সালমা খাতুনের ঢাকার বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে জমা করা হয়।
বদলির ৫ মাস পরে সম্প্রতি বৃত্তান্তসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশের পর গত ৯ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব ছাড়েন সাখায়েত। তবে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে ঢাকাতেই আছেন তিনি। বাসায় বসে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক সাহারা খানম ও সালমার মাধ্যমে মাউশি ঢাকা অঞ্চলে নিজের প্রভাব অটুট রেখেছেন তিনি। দপ্তরের নিয়োগ ও বদলি শাখার অফিস সহকারি আনোয়ার হোসেনও তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন।
এছাড়া সালমা সরকারের অনুমােদন ছাড়াই প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ করে সেইফ হাউজ মানসিক হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিক গড়ে তুলেছেন। শ্যামলীর পিসিকালচার হাউসিং সােসাইটিতে গড়ে তোলা হাসপাতালের চেয়ারম্যান সালমা খাতুন নিজেই, আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার স্বামী রেজাউল করিম রেজা। রেজা পাবনা জেলার সুজানগর থানার বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক। জানা গেছে, তদন্ত শুরুর পর হাসপাতালটি সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা যায়, সালমা দক্ষিণ কল্যাণপুর শীতল ছায়া আবাসিক এলাকায় প্রায় এক কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন। এছাড়া ঢাকা উদ্যান এলাকায় জমি কিনেছেন।
দূূদক ও মাউশি সূত্রগুলো জানিয়েছে, সালমার পাশাপাশি সাখায়েত ও আনোয়ারের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করবে সংস্থাগুলো।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ