প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে গণস্বাস্থের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মানবিক না হয়ে যতই নামাজ, তাহাজ্জুত, কোরআন পড়েন এবং কোরবানি করেন কোনো কাজ হবে না। ক্ষমা পাবেন না। আটকদের মুক্তি দেন। এসব ফাজলামি বন্ধ করেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মামুনুল হকের আইনী অধিকার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তার পরিবারকে গত ১৫ মাসে একবার দেখা করতে দেয়া হয়েছে। মামুনুল হকসহ অন্যান্য আলেমদের তাদের পরিবারের সাথে দেখা করতে না দেয়া জালেমের কাজ।
রবিবার (৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে গণ মতামত কেন্দ্রের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, যদি আগামী দু’দিনের মধ্যে আলেম ওলামাসহ রাজবন্দীদের মুক্তি না দেয় তাহলে ১০ হাজার মানুষ নিয়ে হাইকোর্ট ঘেরাও করবো। বসে থাকবো ঈদের নামাজ পড়তে দেবো না। আমার শ্বাস কষ্ট আছে। যদি মরে যাই তা হবে সম্মানজনক মৃত্যু। বিচারপতিদের বলি আপনি হাসিনার চাকর নয়, আপনারা জনগণের চাকর। ভুলে গেছেন? কে কখন দৌঁড়াবেন টেরও পাবেন না।
মোদি খারাপ লোক এটাই বলেছেন আলেমরা। এজন্যই চাননি তিনি বাংলাদেশে আসুক। তাই আন্দোলন করেছেন। তাই বলে কি তাদের আটকিয়ে রাখবেন?
হাজি সেলিমকে প্যারোলে মুক্তি দিতে পারেন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু দেখতে পারেন। আপনারা সবসময় দ্বিচারিতা করছেন। এগুলো বন্ধ করেন।
তওবা করেন। সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। ক্ষমতায় আসলে ভালো না আসলে সমস্যা নেই। আপনাকে আমরা নিরাপত্তা দেবো। একটাই দাবি মুক্তি চাই আলেমদের।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক, এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।