বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে মিথ্যা বলে লোডশেডিং দিচ্ছে। রিজার্ভ নিয়েও মিথ্যা বলছে। জ্বালানি খাতের দুর্বলতা নিয়েও মিথ্যা বলছে। এক কথায় সরকার মিথ্যাচারের ডালি খুলে বসেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কথা বলেন।
‘ফয়সালা হবে কোন পথে, রাজপথে, রাজপথে…’ স্লোগানে শেষ হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বৃহস্পতিবারের সমাবেশ। সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যের শেষে এই স্লোগান দেন।
সমাবেশে তিনি আওয়াজ তোলেন, ‘ফয়সালা হবে কোন পথে?’ উপস্থিত নেতা-কর্মীরা জবাব দেন, ‘রাজপথে, রাজপথে…।’
মির্জা ফখরুল তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না, সমন্বিত আন্দোলন গড়ে তুলে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে।’
এ সময় সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান মির্জা ফখরুল। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতি, জ্বালানির দাম বৃদ্ধিসহ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। তাই এখন রাজপথের সংগ্রাম ছাড়া কোনো উপায় নেই। তাই ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে সরকারকে পরাজিত করতে হবে ‘
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ লড়াই বেঁচে থাকার লড়াই, এ লড়াই বাংলাদেশকে বাঁচানোর লড়াই ।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে সরকার মিথ্যাচার করছে। জনগণকে ক্রমেই ঝুঁকির মুখে ফেলছে এ সরকার। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘এক দলীয় শাসন চালাচ্ছে সরকার। উন্নয়ন উন্নয়ন করে দেশকে ধ্বংস করছে ক্ষমতাসীনরা। দেশ চালাচ্ছে গুটি কয়েক আমলা ও কিছু পুলিশ। গুলি করে নির্যাতন চালিয়ে বিরোধী মত দমন করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ নিয়ে অসত্য কথা বলেছে সরকার। লোডশেডিং তার প্রমাণ।’
দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘ভোলার ঘটনার বিচার করা হবে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে। লোডশেডিং করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলেছে। রিজার্ভ নিয়ে অসত্য কথা বলেছে। দেশকে বাঁচাতে হলে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে হবে।’
আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতের চরম অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতির কারণে ভয়াবহ লোডশেডিং। অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়া হচ্ছে। অথচ বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার করেছে ক্ষমতাসীনরা। এভাবে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে প্রতিহত করে, দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করা হবে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশকে দেউলিয়াত্বের পথে নিয়ে গেছে সরকার। কুইরেন্টালের নামে টাকা পাচার হয়ে গেছে। এখন চলছে লোডশেডিং। গুম-খুন হত্যার বিচার করতে হবে। প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।’
আজ রাজধানীতে কর্মসূচি চলছে। আগামীকাল শুক্রবার (১২ আগস্ট) দেশজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।