জলপাইগুড়ি থেকে আসা একটি মেয়ে। আজ টলিউডের তারকা। সেই সঙ্গে যাদবপুর কেন্দ্রের সাংসদ। ফেসবুকে যাঁর অনুরাগীর সংখ্যা ৪৮ লক্ষের কাছাকাছি। ইনস্টাগ্রামে সেই সংখ্যাটা প্রায় ২৫ লক্ষ। মিমি চক্রবর্তী। টলিউডে এই নাম এখন অন্যতম ভরসার স্থল। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা ও নিষ্ঠায় নিজের এই জায়গা তৈরি করেছেন মিমি। নিজের স্ট্রাগলের গোপন কাহিনি এতদিনে প্রকাশ্যে জানালেন অভিনেত্রী-সাংসদ। কীভাবে বাড়ি থেকে মিথ্যে কথা বলে কলকাতায় এসেছিলেন? কীভাবে সামান্য টাকায় দিন গুজরান করতে হিমশিম খেতেন? সেই সমস্ত গল্পই শোনালেন ইনস্টাগ্রাম ভিডিওয়।
শুক্রবার থেকেই হইচই প্ল্যাটফর্মে দেখা যাচ্ছে মিমি চক্রবর্তী ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য অভিনীত ‘ড্রাকুলা স্যার’ ছবিটি। ওয়েব প্রিমিয়ারের আগেই এক সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই জানান, নিজের বর্তমান পরিস্থিতিতে আসার জন্য কীভাবে দিনের পর দিন একা লড়াই করেছিলেন। বলেন, “প্রথমে মিথ্যে কথা বলে এসেছি যে পড়াশোনা করতে যাচ্ছি কলকাতায়। ৩ হাজার টাকা যেটা বাড়ি থেকে দিত তাতে খাব কী, পিজি’র ভাড়া দেব কী, নতুন জামা কিনব কী আর অডিশনেই বা কী করে যাব, ওতে কিছুই হত না।”
এভাবেই এক বছর চলার পর মডেলিং শুরু করেন মিমি। তারপর ছোটপর্দায় আসে ‘গানের ওপারে’ অধ্যায়। ২০১২ সালে ‘বাপি বাড়ি যা’ সিনেমার মাধ্যমে শুরু করেন বড়পর্দার যাত্রা। আপাতত আগামীর তালিকায় রয়েছে ‘বাজি’। ছবিতে জিতের বিপরীতে অভিনয় করেছেন মিমি। অভিনয়ের পাশাপাশি যাদবপুর কেন্দ্রের সাংসদের দায়িত্বও পালন করছেন। সবদিক সামলেই সিনেমায় অভিনয় করছেন। ভালবাসার এই জায়গায় পৌঁছতেই তো দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন। সেজন্যই হয়তো মানুষের মনে নিজের জন্য আলাদা জায়গা করে নিতে পেরেছেন অভিনেত্রী ও সাংসদ।