দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান-এর নেতারা মিয়ানমারকে হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেছেন, শান্তি পরিকল্পনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে না পারলে জোটের বৈঠক থেকে মিয়ানমারকে বাদ দেওয়া হবে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) নম পেন-এ জোটটির সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি জানানো হয়।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি অবসান করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জান্তা ও আসিয়ানের মধ্যে পাঁচ দফা সমঝোতা হয়েছিলো। কিন্তু এক বছর পর মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় অসন্তুষ্ট আসিয়ান নেতারা। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) আসিয়ান দেশগুলোর নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে পাঁচ দফার আলোকে সুনির্দিষ্ট, বাস্তবসম্মত ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে হবে।

সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জোটের যে কোনও পর্যায়ে মিয়ানমারের প্রতিনিধি রাখার বিষয়টি তারা বিবেচনা করবেন। গত বছর থেকে জোটের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে মিয়ানমারের অংশগ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবারের সম্মেলনে মিয়ানমারের চেয়ার ছিল খালি। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেত্নো মারসুদি বলেছেন, এটি মিয়ানমার জান্তার প্রতি একটি কঠোর বার্তা। তবে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, শুক্রবার গৃহীত আসিয়ানের সিদ্ধান্ত যথেষ্ট নয়।

উল্লেখ্য, এর আগে জান্তার পক্ষ থেকে স্থিতিশীলতার পথে অগ্রগতি না হওয়ার জন্য করোনাভাইরাস মহামারি ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বাধার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

গত বছর সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকার উৎখাত হওয়ার পর থেকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। অভ্যুত্থানের পর গণতন্ত্রপন্থীদের ওপর কঠোর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে সরকার।

সদস্য দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার চিরাচরিত রীতি ভেঙে মিয়ানমার জান্তার সমালোচনা করে আসছে। তবে তারা পশ্চিমা ধাঁচে সামরিক সরকারের নিষেধাজ্ঞা বা জোট থেকে তাদের বহিষ্কার করা থেকে বিরত থেকেছে। সূত্র: রয়টার্স