মিয়ানমারের প্রস্তুতির ঘাটতির কারণে থমকে আছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। বেইজিং এর উদ্যোগে গত চার বছরে এ ইস্যুতে কয়েকটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি হয়নি। কেবল বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে তালিকা আদান-প্রদান ছাড়া।
তবে এবার নতুন আশা দেখছে বাংলাদেশ। কারণ আগামী ৬ আগস্ট ঢাকায় আসছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরে এ জট খোলার প্রত্যাশায় সরকার।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে গুরুত্ব পাবে প্রসঙ্গটি। একই সঙ্গে নেপিদোর ওপর চাপ বাড়াতে বেইজিংয়ের সমর্থন চাইবে ঢাকা।
তিনি মনে করেন, চীন মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়োলে রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব।
গত বছরের জানুয়ারিতে দেড় হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে সম্মত হয় মিয়ানমার। কিন্তু বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গাদের পরিবার ভিত্তিক প্রত্যাবাসন। তবে তাতে সায় দেয়নি নেপিদো।
এদিকে বাংলাদেশের অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হলেও সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেনি মিয়ানমার। আর সে কারণেই আটকে আছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। অন্যদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে চীন।