প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হওয়ার ওপর জোর দেন তারা। অর্থনীতিবিদরা বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা, কর্মদক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। তবে রাজস্ব বোর্ড বলছে, নিত্যপণ্য ও কৃষি উপকরণের উপর শুল্ক ছাড় দেওয়ায় স্বস্তি পাবে সাধারণ মানুষ।
করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিত্যপণ্যের বাজারকে অস্থির করেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির লাগাম টানতে প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ এর ঘরে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কিন্তু তা বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব?
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ এই লক্ষ্যপূরণে চ্যালেঞ্জ দেখেন। তিনি বলেন, কর্মসংস্থান তৈরিতে বাজেটে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। আয় বৈষম্য কিভাবে কমানো হবে তারও পরিকল্পনা নেই বাজেটে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজার ব্যবস্থাপনায় আরো উদ্যোগী হতে হবে বলে মত দেন তিনি। পাচার করা অর্থ ফেরানোর উদ্যোগ কার্যকর করা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বাজেটে রাজস্ব আয়ের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে তা অর্জন নিয়ে অর্থনীতিবিদরা সন্দিহান হলেও এনবিআর কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, করদাতাদের সদিচ্ছা থাকলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে করপোরেট কর কমানো ও দেশীয় পণ্য সুরক্ষার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।