বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২২ অঙ্গরাজ্যে মামলা স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে সুপার সিক্সে বাংলাদেশ তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম গাজার ধ্বংসস্তুপ থেকে পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশকে সমর্থন করবে জার্মানি’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের কোড নাম কী ছিল পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত বিশ্বকাপের দৌড়ে টিকে রইলো বাংলাদেশ লিসবনে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বার্সেলোনার জয় ‘ওষু‌ধের বাই‌রে খা‌লেদা জিয়ার চিকিৎসা নি‌য়ে পর্যা‌লোচনা চলছে’ দেড় দশকে গুম হয়েছেন মা-শিশুসহ অন্তঃসত্ত্বা নারীরাও বিমানের রোম ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, শাহজালালে সতর্কতা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহযোগিতার আশ্বাস ইউএনএইচসিআরের

মেডিকেল ভিসা বন্ধ ভারতের, সুবর্ণ সুযোগ বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ডিসেম্বর ৬, ২০২৪
মেডিকেল ভিসা বন্ধ ভারতের, সুবর্ণ সুযোগ বাংলাদেশের

চিকিৎসা নিতে গিয়ে বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি ভারতে চলে যায়। তবে সম্প্রতি সে দেশের মেডিকেল ভিসা প্রায় বন্ধ। একে দেশের স্বাস্থ্যখাতের বিকাশের সুযোগ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে দেশেই থাকবে বিপুল পরিমাণ টাকা। এ ছাড়াও স্বাস্থ্যসেবার মান না বাড়ালে অনেক রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

চিকিৎসার জন্য প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যায় কয়েক লাখ বাংলাদেশি। তবে বেশিরভাগের গন্তব্যই ভারত। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সীমিত হয়েছে ভারতের মেডিকেল ভিসা। খুব গুরুতর রোগীরাও ভিসা পাচ্ছেন না। এতে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে যাওয়ার হার বেড়েছে।

ক্যানসার, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, লিভারের নানা সমস্যাসহ প্রায় ১২ ধরনের রোগের চিকিৎসা নিতে ভারতে যাওয়ার হার বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্ভুল রোগ নির্ণয়, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের আচরণ পরিবর্তন, দুর্নীতি কমানোসহ দেশেই বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘দেশ থেকে সেবা নিয়ে যদি তারা সন্তুষ্ট হয়ে যায় তাহলে হয়ত রোগীরা বিদেশমুখী হবেই না। তখন হয়ত দেশের কাঠামোটা গড়ে উঠলো। এইটা একটা বড় কাজ হবে। এই জায়গায় আমার মনে হয় যে, সরকারের তরফ থেকে একটা আলোচনা দরকার এবং বেসরকারি হাসপাতাল, মালিক, ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের যারা আছেন তাদেরকেও কিন্তু এই সুযোগটা কাজে লাগান দরকার।’

দেশের সরকারি হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা, কম জনবল এবং বেসরকারি খাতের অতি মুনাফার মানসিকতার অভিযোগ পুরোনো। এ সব সংকটের সমাধান না হলে ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন রোগীরা।

চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক লিয়াকত আলী বলেন, ‘প্রাইভেট সেক্টরে রোগীদের ভিড় তো আর পাবলিক সেক্টরের মতো না। প্রাইভেট সেক্টরে যে পরিমাণ অর্থ রোগী খরচ করে সে পরিমাণ সেবা পায় কিনা তার মান নিয়ে কিন্তু প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিশেষ করে ব্যবহার সম্পর্কে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।’ তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানে বিশ্বমানের চিকিৎসা হয়। আস্থা সংকটের কারণ নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘ভারতের চাইতে আমাদের চিকিৎসাসেবা কোনো অংশেই কম না। যেসব রোগী আমাদের ভারতে যায়, আসার পর তাদের ফিডব্যাক নেই। কিন্তু সেখানে তারা কি চিকিৎসা দিল আমরা কি চিকিৎসা দিলাম এইটার মধ্যে আমি খুব একটা পার্থক্য পাই না।’

দেশে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে রাজধানীর শাহবাগে নির্মাণ করা হয়েছে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় অধরা থেকে গেছে সেই স্বপ্ন।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ