বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব দেশের বাজারে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম পুতুল, টিউলিপসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ৪ বছর করার সুপারিশ ‘দুইবারের বেশি একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না’ সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে জামায়াত আমিরের সৌজন্য সাক্ষাৎ আইনশৃঙ্খলা বা‌হিনীর যারা বাড়াবাড়ি করেছে তাদের ধরা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নেতৃত্বদানে অগ্নিপরীক্ষার সামনে ডোনাল্ড ট্রাম্প উইজডেনের বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে তাসকিন বদলি তারকার গোলে লিভারপুলের ড্র দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জয়হীন ম্যানসিটি ছাগলকাণ্ডে জড়িত মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার ‘ডেসটিনির এমডি রফিকুলের মুক্তিতে বাঁধা থাকছে না’ অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেকসহ সব আসামি খালাস

মেয়াদ শেষ করতে পারেনি পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : এপ্রিল ১০, ২০২২
মেয়াদ শেষ করতে পারেনি পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রী

পাকিস্তান রাষ্ট্র হওয়ার পর প্রায় ৭৫ বছরের পথচলায় ৫ বছর ক্ষমতার মেয়াদ পূরণ করতে পারেনি কোন প্রধানমন্ত্রী। ইমরান খানের আগেও সামরিক অভ্যুত্থান কিংবা বিরোধীদের অনাস্থায় ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীদের।

পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান। ১৯৪৭ সালে ১৫ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তিনি। ১৯৫১ সালের ১৬ই অক্টোবর এক জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন তিনি।

লিয়াকত আলি খানের পর প্রধানমন্ত্রী হন খাজা নাজিমুদ্দিন। তার সময়ে একাধিক সহিংসতার ঘটনা ঘটার পর তাকে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন গভর্নর জেনারেল গুলাম মালিক। কিন্তু তিনি না মানায় তাকে অপসারণ করা হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী হন মোহাম্মদ আলী বোগরা। আঞ্চলিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তৎকালীন গভর্নর জেনারেল ইসকান্দর মির্জার সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে দুই বছরের মাথায় তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়।

১৯৫৫ সালে পাকিস্তানের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন চৌধুরী মোহাম্মদ আলী। দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। কিন্তু গভর্নর জেনারেল ইসকান্দর মির্জার সঙ্গে মতবিরোধের কারণে মাত্র এক বছর এক মাস পর ক্ষমতা ছাড়তে হয় তাকে।

এরপর মাত্র দুই মাস প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ইব্রাহিম ইসমাইল চুন্দিরগার।

পাকিস্তানের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরোজ খান নূন ক্ষমতায় থাকেন এক বছরেরও কম সময়।

১৩ বছরের সামরিক শাসনের অবসানের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন নুরুল আমিন। মাত্র ১৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন তিনি।

নুরুল আমিনের পর ক্ষমতায় আসেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টো। হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৭৯ সালে সামরিক আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

ভুট্টোর পর ১৯৮৫ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন মোহাম্মদ খান জুনেজো। ১৯৮৮ সালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

এরপর পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন বেনজির ভুট্টো। দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে মাত্র দুই বছরের মাথায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

এরপর দ্বাদশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসেন ক্ষমতায় আসেন নওয়াজ শরীফ। মাত্র দুই বছর তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

পরে দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন যথাক্রমে বেনজির ভুট্টো ও নওয়াজ শরীফ। ১৯৯৯ সালে জেনারেল পারভেজ মোশাররফ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে ক্ষমতাচ্যুত করেন নওয়াজ শরীফকে।

এরপর মীর জাফরুল্লাহ খান জামালি ১৯ মাস, চৌধুরী সুজাত দুই মাস এবং শওকত আজীজ ৩ বছর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

পাকিস্তানের ১৮তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাত্র ৪ বছর ক্ষমতায় ছিলেন ইউসুফ রাজা গিলানি। চার বছরের মাথায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

পরে এক বছরেরও কম সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজা পারভেজ আশরাফ।

তৃতীয় দফায় ফের ক্ষমতাসীন হন নওয়াজ শরিফ। এ মেয়াদে তিনি দায়িত্ব পালন করেন ৪ বছর।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ