শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
‘যারা শহীদ হয়েছে তাদের রক্তে সাথে বেইমানি করা যাবে না’ নরেন্দ্র মোদী পুণ্যস্নান করলেন ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে’ চার প্রদেশ ও নতুন দুই বিভাগের প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের অনির্বাচিত সরকার কখনো নিরাপদ না: জামায়াতের নায়েবে আমির আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল সরে দাঁড়িয়েছেন মেয়েদের জাতীয় দলের প্রধান কোচ থানায় হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হত্যা মামলায় শাহজাহান ওমরসহ তিনজন গ্রেপ্তার যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে গাজা উপত্যকা: ট্রাম্প সুইডেনে স্কুলে গুলি, নিহত ১০ তাপমাত্রার সাথে বাড়বে কুয়াশার দাপট উত্তরবঙ্গের সব পেট্রল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই খালাস

মোদির ডিগ্রি প্রশ্নে তথ্য দিতে নারাজ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট : জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
সব প্রতিবেশীর সঙ্গেই সম্পর্কের অবনতি ভারতের

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। এবার এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সাফ জানিয়েছে, কারও কৌতূহল মেটাতে তথ্য প্রকাশ করবে না কৃর্তপক্ষ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি মোদির ডিগ্রি বিতর্কে আরটিআই আইনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনার জন্য। আরটিআই কর্মীর আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবর্ষে পাস করা সব শিক্ষার্থীর তথ্য প্রকাশ করতে বলে কমিশন। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গতকাল সোমবার হাইকোর্টে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, তথ্য জানার অধিকার বা আরটিআই আইনের ধারা অনুসারে, তথ্য জানানো এই আইনের উদ্দেশ্য। কিন্তু কারও ব্যক্তিগত কৌতূহল মেটানো এই আইনের উদ্দেশ্য নয়। একটি আস্থার জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রাখা থাকে। কোনো অপরিচিত ব্যক্তির কাছে তা প্রকাশ করবে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সলিসিটর জেনারেলের তুষার মেহতা আরও জানান, যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তার সঙ্গে জবাবদিহির কোনো সম্পর্ক নেই। তথ্য প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেওয়ার ফলে আরটিআই আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আরটিআই কর্মী নীরাজ কুমার প্রথমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ১৯৭৮ সালের স্নাতক স্তরের সব শিক্ষার্থীর নাম, রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর জানতে চেয়েছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তৃতীয় পক্ষের তথ্য এভাবে দেওয়া যাবে না। তখন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে আবেদন জানান এই আরটিআই কর্মী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে কমিশন ১৯৭৮ সালের কলা বিভাগের স্নাতক স্তরে পাস করা শিক্ষার্থীদের নথিপত্র খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। ১৯৭৮ সালেই স্নাতক পাস করেন নরেন্দ্র মোদি।

কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে বছর ২৩ জানুয়ারি মামলার প্রথম শুনানিতে কমিশনের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। গতকাল সোমবার সেই মামলার নতুন শুনানি হয়। সেখানেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথ্য প্রকাশে আপত্তি জানান।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ