ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে সামনে পেয়ে লিভারপুল জ্বলে উঠল আপন আলোতে। হয়ে উঠল উজ্জীবনী শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ওঠা দল। যাদেরকে আটকানোর কোনো পথই খুঁজে পেল না ইউনাইটেড। হাইভোল্টেজ ম্যাচটির প্রথমার্ধ যেমন-তেমন দ্বিতীয়ার্ধে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্সে প্রতিপক্ষের জালে গোল উৎসবে মাতলো ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
রোববার (৫ মার্চ) অ্যানফিল্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জালে গুনে গুনে সাতটি গোল দিল লিভারপুল। যা মনে করিয়ে দেয় ২০১৪ সালের ব্রাজিল-জার্মানের ১-৭ গোলের কথা। লিভারপুল-ম্যানইউর ম্যাচটির প্রথমার্ধে গোল হয়েছে একটি। তাও শেষ মুহূর্তে। বাকি ছয়টি গোলই আসে দ্বিতীয়ার্ধে।
সাত গোলের মধ্যে দুইটি করে গোল করেন কোডি গাকপো (৪৩, ৫০), দারউইন নুনিয়েজ (৪৭, ৭৫) ও মোহাম্মদ সালাহ (৬৬, ৮৩)। ইউনাইটেডের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুঁকেছেন রবার্তো ফিরমিনো (৮৮)। এই জয়ে শীর্ষ চারে থেকে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করার আশাটা বেঁচে থাকল লিভারপুলের।
চলতি মৌসুমের শুরু থেকে বারবার ছন্দ হারানো লিভারপুল ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই ধুঁকছিল। টানা চার ম্যাচে জয় না পাওয়ায় (তিন হার ও এক ড্র) ফেব্রুয়ারির শুরুতে তারা নেমে যায় পয়েন্ট তালিকার ৯ নম্বরে। এরপরই দলটির ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। আসরে প্রথমবারের মতো টানা পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত (চার জয় ও এক ড্র) রয়েছে লিভারপুল।
লিভারপুলের কাছে হেরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২৫ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্টেই আটকে থাকল। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে তারা পিছিয়ে ১৪ পয়েন্টে। সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে লিভারপুলের পয়েন্ট ৪২। তারা এই মুহূর্তে পঞ্চম স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা টটেনহামের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান ৩।