আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর প্রায় দেড় বছর কেটে গেলেও বিতর্ক এখনো কাটেনি। এবার মৃত্যু রহস্য নিয়ে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। মৃত্যুর তদন্তকারী প্রসিকিউটররা তার চিকিৎসকদের অবহেলাজনিত হত্যার দায়ে বিচারের দাবি করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ম্যারাডোনার চিকিৎসকদের ৮ থেকে ২৫ বছর জেল হতে পারে। খবর ফক্স স্পোর্টস
প্রসিকিউটররা বলেছেন, ‘ম্যারাডোনার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা আট চিকিৎসক তাদের চিকিৎসা প্রদানে বিরত ছিল। এটাই নাকি ম্যারাডোনাকে অসহায়তার পরিস্থিতিতে রেখেছিল। বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থাতে ম্যারাডোনাকে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল বলেও প্রসিকিউটররা দাবি করেছেন।’
নিউরোসার্জন এবং ম্যারাডোনার পারিবারিক চিকিৎসক লিওপোল্ডো লুক এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আগুস্টিনা কোসাচভকে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মৃত্যুর জন্য প্রধান ব্যক্তি হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। এছাড়া মনোবিজ্ঞানী কার্লোস ডিয়াজ এবং মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর ন্যান্সি ফোরলিনিসহ আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রসিকিউশন অভিযুক্তদের একজন ব্যক্তিকে অবহেলা করার কারণে মৃত্যুর বিষয়টিকে ঘটনাচক্রে সাধারণ হত্যা হিসেবে উল্লেখ করে সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। ৫০ বছর বয়সে ম্যারাডোনা ২০২০ সালে মারা যাওয়ার আগে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে অস্ত্রোপচার করানো হয়েছিল। কয়েক দশক ধরে কোকেন এবং অ্যালকোহল আসক্তির সঙ্গে তিনি লড়াই করছিলেন।
আর্জেন্টিনার ফুটবলের দর্শন বদলে দিয়েছেন এই কিংবদন্তি। তার হাত ধরে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জেতে। বলা হয়ে থাকে, ৮৬র বিশ্বকাপে মেক্সিকোয় একাই বিশ্বকাপের স্বাদ এনে দেন আরমান্ডো ম্যারাডোনা। ক্লাব ফুটবলেও ম্যারাডোনা ছিলেন অনবদ্য। ইতালির অখ্যাত এক ক্লাব নাপোলিকে ইউরোপ মঞ্চের ট্রফি এনে দেন তিনিই, জিতিয়েছেন লিগ শিরোপাও।