বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে নাম না করে পাকিস্থানকে বিঁধলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শুক্রবার (১৫ জুলাই) কলকাতায় প্রজেক্ট ১৭-এর আওতায় গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সের তৈরি যুদ্ধজাহাজ আইএনএস দুনাগীরির উদ্বোধন করতে আসেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
রাজনাথ সিং বলেন, যেভাবে বাংলাদেশ উন্নতির দিকে অগ্রসর হয়েছে, তাতে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত আনন্দিত। বাংলাদেশ ধার্মীয় উন্মাদনা, কট্টরপন্থী বিরোধী জিরো টলারেন্স নিয়েছে। এর পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতা, আধুনিকীকরণ, নারী ক্ষমতায়ন, সামাজিক উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিবেশী অনেক রাষ্ট্রের তুলনায় অনেক বেশি উন্নতি করেছে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপট যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা বিশ্বের যেকোনো দেশের কাছে আদর্শ উদাহরণ হতে পারে।
অপরদিকে নাম না করে পাকিস্থানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আরেকটি রাষ্ট্র যে ধর্মান্ধতা, কট্টরপন্থীদের কারণে নিজেরাই অশান্তিতে আছে, পাশাপাশি ভারতেরও সমস্যা সৃষ্টি করছে, তাদের বাংলাদেশের কাছে অনেক শেখার আছে এবং নিজেদের আত্মবিশ্লেষণ করা উচিত। বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত যে উন্নয়ন করছে তা ওদেরও শেখা উচিত। বাংলাদেশ যেভাবে উন্নতি করেছে তাতে আগামীতে এক উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনীতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা বিষয়ে ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে। ভারত উত্তরোত্তর যে শক্তি বাড়াচ্ছে তা শুধু নিজেদের জন্য নয়, ভবিষ্যতে সেই শক্তি মিত্র রাষ্ট্রদের সাহায্যের জন্যও কাজে লাগবে। ভারত প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ভুটানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেছে। শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত তার পাশে আছে। শ্রীলঙ্কাকে যতটা সম্ভব সাহায্যের চেষ্টা করছে ভারত।
শুক্রবার গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের তৈরি একটি ‘ফ্রিগেট’ (ছোট রণতরী) উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। যার নাম ‘আইএনএস দুনাগিরি’। এদিনই হুগলি নদীর পানিতে ভাসানো হয় এই জাহাজ। রওনা হবে মুম্বাইয়ের উদ্দেশে। সেখানে আধুনিক সমরাস্ত্রে সাজানো হবে জাহাজটিকে। এর আগেও ‘আইএনএস দুনাগিরি’ নামে একটি যুদ্ধজাহাজ ভারতীয় নৌসেনায় ছিল। পুরোনো হয়ে যাওয়ায় সেটিকে আর কাজে লাগানো হয় না। নতুন ফ্রিগেটটিকেও ওই একই নাম দেয়া হয়েছে। জাহাজটির বিশেষত্ব হচ্ছে এটি শত্রুপক্ষের রাডারে ধরা পড়বে না। হামলা চালাতে পারবে অতর্কিতে।