সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ছয় বছরের জন্য নারী ফুটবল দলের স্পন্সর ‘ঢাকা ব্যাংক’ দেশের ফুটবল নিয়ে উঠছে ব্যর্থতার নানা প্রশ্ন চাহিদা থাকলেও ভিসা জটিলতায় পিছিয়ে আমিরাতে শ্রমিক নিয়োগ ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কুয়াকাটা সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, রোববার ঈদ চীন সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ভোটাধিকার হরণের চেষ্টা করলে বিএনপি আবার মাঠে নামবে: মির্জা ফখরুল সংস্কারের কথা বলে জনগণের সাথে লুকোচুরি খেলা হচ্ছে: রিজভী আগামীকাল ফ্রান্সে ঈদুল ফিতর ভারত-পাকিস্তান পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘোষণা করেছে সোমবার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হওয়া ৪১০টি মামলা প্রত্যাহার পরম শ্রদ্ধায় ড. ইউনূসকে বিদায় জানালো চীন ভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে জেলা প্রশাসকের বাংলো থেকে সংসদ নির্বাচনের সিল মারা ব্যালট উদ্ধার অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার

যেসব কারণে ‘ভয়াবহ’ বিদ্যুৎ সঙ্কটে ভারত

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : মে ১৯, ২০২২

দক্ষিণ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে ওই এলাকায় ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ৬ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখোমুখি ভারত। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাতে দেশটিতে এ সঙ্কটের নেপথ্য কারণগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

চলতি বছর তীব্র তাপদাহে ভারতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। পাশাপাশি করোনা বিধিনিষেধ উঠে গেছে। ফলে পুরোদমে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে শিল্প কারখানার কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে।

কোভিড-১৯ আঘাত হানার সময় থেকে নতুন হাইব্রিড কাজের মডেল গৃহীত হয়েছে। তাতে লাখ লাখ ভারতীয় ঘরে বসে কাজ করছেন। ফলে আবাসিক এলাকায় দিনের বেলায় বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে।

এ অবস্থায় ব্যাপক হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছে ভারত। ফলে দেশটির অসংখ্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে। এতে কয়লার মজুদও কমে গেছে। বিগত ৯ বছরের মধ্যে যে জোগান সর্বনিম্ন।

ভারতের অভ্যন্তরীণ কয়লার চাহিদার ৮০ শতাংশই আসে রাষ্ট্র পরিচালিত কোম্পানি কোল ইন্ডিয়া থেকে। সাম্প্রতিক সময়ে তা রেকর্ড উৎপাদন করেছে তারা। কিন্তু ভারতীয় রেলওয়ে পর্যাপ্ত ট্রেন সরবরাহ করতে পারেনি। যে কারণে কয়লার মজুদও বাড়েনি।

আমদানি করা কয়লা দিয়ে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বাড়াতে চাচ্ছে ভারত। কিন্তু বিশ্ববাজারে কয়লার দাম বেশি হওয়ায় সেসবের বেশিরভাগেরই কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।

এই সঙ্কটের প্রভাব জানতে গোটা ভারতে ৩৫ হাজার মানুষের ওপর জরিপ চালায় দেশটির বিখ্যাত পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠান লোকাল সার্কেলস। তারা জানায়, তাদের জরিপে অংশ নেয়া ৩৫ হাজার মানুষের অর্ধেকই চলতি মাসে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখোমুখি হন।

জনমানুষের চাহিদা মেটাতে কমপক্ষে তিনটি অঙ্গরাজ্যের কারখানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ থাকে। শিল্পকারখানা পরিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে কয়লা সরবরাহ সীমিত হয়ে পড়ে। ফলে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ টানে সেগুলো। এতে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ওপর চাপ পড়ছে।

উড়িষ্যায় ভারতের সবচেয়ে বড় অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাতের কারখানায় গত অক্টোবর থেকে মার্চে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ে ৩০ শতাংশের ওপর।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ৩৮ বছরের মধ্যে এবার ভারতে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। অন্যদিকে, কয়লা মজুদ হ্রাস পেয়েছে। ফলে এবার আরও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখোমুখি হতে হবে দেশটিকে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ